আইনস্টাইন ও নিউটনের আবিষ্কার প্রত্যাখ্যান ভারতীয় বিজ্ঞানীদের

ডেস্ক: জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ও মার্কিন বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের আবিস্কারকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ভারতীয় কয়েকজন বিজ্ঞানী। তাদের দাবি ওই দুই বিজ্ঞানী বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বার্ষিক বিজ্ঞান সম্মেলন উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সেখানেই এসব দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। তারা আরও দাবি করেন, হিন্দু ধর্মীয় মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত রাজা রাবণের ২৪ রকম বিমান ছিলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, হিন্দু রুপকথা ও ধর্মীয় গ্রন্থ তুলে ধরে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ভারতে অনেক সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবারের দাবি ছাড়িয়ে গেছে আগের সব ঘটনাকে। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি নাগেশ্বর রাও দাবি করেন, ভারতে কয়েক হাজার বছর আগেই স্টেম সেলের গবেষণা ছিল।

সম্মেলনে উপস্থিত থাকা তামিল নাড়ুর আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী দাবি করেন, আইজাক নিউটন ও আলবার্ট আইনস্টাইন উভয়েই ছিলেন ভুল। তিনি বলেন, গ্রাভিটেশনাল ওয়েভের নাম হওয়া উচিত ‘নরেন্দ্র মোদি ওয়েভস’। ড. কেজে ক্রিশনান বলেন, নিউটন অভিকর্ষন শক্তি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং আইনস্টাইনের তত্ত্ব বিভ্রান্তিকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাচীণ ভারতের যেসব লেখনি পাওয়া গেছে তা এখনও পড়া হয় এবং তা থেকে আনন্দ পাওয়া যায়।

তবে এগুলোকে যদি কেউ বিজ্ঞান হিসেবে মনে করেন তাহলে তা হবে একরকম বোকামি। ইন্ডিয়ান সাইন্টিফিক কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক প্রেমেন্দু পি মাথুর বলেন, ‘আমরা তাদের বক্তব্যে সহমত নই। আমরা তাদের দাবি থেকে নিজেদের দূরে রাখছি। গত বছর ভারতের শিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিং ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিমানের কথা প্রথম উল্লেখ করা হয়েছে হিন্দুদের প্রাচীন মহাকাব্য রামায়ণে। তিনি আরো দাবি করেন, রাইট ব্রাদার্সদের আবিস্কারের আট বছর আগেই প্রথম কার্যকর বিমান আবিষ্কার করেছিলেন একজন ভারতীয়। তার নাম শিবাকর বাবুজি তালপাড়ে।

২০১৪ সালে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও মেডিকেল স্টাফদের এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সেখানে হিন্দুদের দেবতা গণেশের কাহিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, গণেশের মাথা হলো হাতির। আর তা যুক্ত হয়ে আছে মানবীয় শরীরের সঙ্গে।

এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রাচীন ভারতে কসমেটিক সার্জারির প্রচলন ছিল। রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বলেন যে, গরুর বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব অনুধাবন করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটিই হলো বিশ্বে একমাত্র পশু যা অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং ছাড় দেয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!