আটঘরিয়ায় আগাম জাতের শিম চাষ করে সাফল্য
পাবনা রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম: আগাম জাতের শিম চাষ করে সাফল্য পেয়েছে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রামের কয়েকশ চাষি। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য পেয়েছেন বেশ ভালো। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ভীড় করছেন শিমের পাইকারী হাট মুলাডুলি বাজারে।
আটঘরিয়ার ধলেশ্বর, সড়াবাড়িয়া, বেরুয়ান, খিদিরপুর, পারখিদিরপুর. মাজপাড়া, বংশিপাড়া, চন্ডিপুর, রাঘবপুরসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের মাঠে এখন শিম ক্ষেতে ছেয়ে গেছে। মাঠের পর মাঠ, বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে কেবলই সবুজ। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু সবুজের সমারহ। উপজেলার এসব জমি এক সময় অনাবাদী পড়ে থাকতো। এখন এসকল জমিতে চাষ হচ্ছে শিম। গত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে শিম চাষ করে ভাগ্য ফিরেছেন এখানকার অসংখ্য কৃষকের। এখন ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন ১০ হাজারেরও বেশী চাষি।
শুধু আটঘরিয়া উপজেলাই নয় পাশ্ববর্তী ঈশ্বরদী উপজেলাতে চাষ হচ্ছে শিম। এ এলাকায় ব্যাপক হারে শিমের আবাদ হওয়ায় মুলাডলিতে গড়ে উঠেছে বিশাল শিমের পাইকারী হাট। সাড়া-দেশের পাইকারী ও খুচরা ব্যাবসায়ীরা এখানে ভীড় করছে সপ্তাহে সাত দিন। আর পাইকারী ভাবে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
চাষিরা বলছেন, আগাম জাতের এই শিম চাষ করলে শিমের ব্যাপক চাহিদার কারণে বাজারে বেশ দাম পাওয়া যায়। তাই তারা শীতের প্রথম থেকেই আগাম জাতের এই সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
আটঘরিয়ার মাজপাড়া গ্রামের রাঘবপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম পাবনা রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, আগাম জাতের এই শিম অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরো মাস জুড়ে ৮০ টাকা থেকে ১০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
চন্ডিপুর গ্রামের হযরত আলী পাবনা রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মাঠের পর মাঠ শিমের আবাদ। আর এই আগাম জাতের শিম চাষ করে চাষিরা বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি বিভাগের হিসাব অনুসারে এবার এ দুই উপজেলায় প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে শিম চাষ করা হয়েছে।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শ্রী প্রশান্ত কুমার সরকার পাবনা রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, আগাম জাতের শিম চাষ করে এবং বাজার মূল্য বেশী পাওয়ায় চাষিরা এবার বেশ লাভবান হবেন তারা।
এই শিমের আবাদ সাড়া দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পুষ্টিকর এই শিম সবার নাগালের মধ্যে আনার দাবী সাধারণ মানুষের।