আটঘরিয়ায় তিন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাসহ চারজনকে ভাতাবহি বিতরণ
পাবনা রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ৩ বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা ও অপর এক মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতাবহি বিতরণ করা হয়েছে। আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আকরাম আলী এই ভাতাবহি বিতরণ করেন।
ভাতাপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার খিদিরপুর গুচ্ছগ্রামের মৃত নুনে সরকারের স্ত্রী সোনা বালা, শ্রী আশুপদ’র স্ত্রী মায়া রাণী, একই উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামের মৃত বেলায়েত প্রামানিকের মেয়ে জামেলা খাতুন। অপরজন হলেন, মুক্তিযোদ্ধা দেবোত্তর গ্রামের সৈয়দ আবুল বারক আলভী।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে ভাতাবহি বিতরণে উপস্থিত ছিলেন, আটঘরিয়া উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক, আতাইকুলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি মনিরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান, মহিউদ্দিন, আব্দুল আজিজ খাঁন, তোকাব্বর হোসেন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। তারই প্রেক্ষিতে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর জামুকা এই গেজেট প্রকাশ করে।
বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা মায়া রানী বলেন, ‘জীবনের শেষ সময়ে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যে সম্মান দেখালো, তা ভুলবার নয়। ক’দিনই বা বাঁচবো। সম্মান নিয়ে মরতে সুযোগ দেওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ। আমাদের বংশধররা বলতে পারবে আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য।
আর বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা সোনা বালা জীবনের সায়াহ্নে এসে আবেগে আপ্লুত। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছি। এতে দেশের জন্য কিছু করেছি বলে গর্ব হচ্ছে।
আটঘরিয়া উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জহুরুল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হলেও আজ ভালো লাগছে এ জন্যে যে, অসহায় এই নারীদের সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, তাদের ভাতা শুরু হলো। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবান জানান।