আটঘরিয়ায় শত্রুতা করে ২১৮টি গাছ কর্তনের ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার : পাবনার আটঘরিয়া পৌর এলাকার কন্দপপুর মহল্লায় শত্রুতা করে ২১৮টি ফল ও বনজ গাছ কেটা ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে দেওয়ার ঘটনায় থানায় পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা হয়নি। বরং ওসি সাহেব উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা বসার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থদের। নিরুপায় হয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গাছ কেটে সাবাড় করায় থানায় মামলা না নেওয়ায় পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যেতে বসেছে। শনিবার বিকেলের দিকে কেটে ফেলে তারা। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও থানা পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ছায়া লিপি হতে জানা গেছে, আটঘরিয়া পৌর এলাকার রামচন্দ্রপুর মহল্লার আজাহার আলী, ইব্রাহীম প্রাং, রবিউল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম গত শনিবার বিকেলের দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেবোত্তর মহল্লার মো: মোজাজ্জর রহমান এর নি¤œতফশীল ভূক্ত জমিতে ৯৮টি আজ গাছ ও ১২০ টিমেহগনি গাছ কেটে ফেলে এবং পাশের একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলে। এতে প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পরের দিন গত রোববার সকালে আটঘরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সত্যতা মিললেও থানায় মামলা নেয়নি বরং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্ষতিগ্রস্থ ও আসামীদের নিয়ে মিমাংসা করে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিক মোজাফ্ফর রহমান বলেন, রামচন্দ্রপুর মহল্লার আজাহার আলীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এরই জের ধরে তারা তার ফলজ ও কাঠের কাছ কেটে সাবার করেছে। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, এর আগেও তারা তার ঐ জমির বেশকিছু গাছ উপড়ে ফেলে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করে।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানার এসআই আব্দুস সালাম বলেন, গাছ কেটে ফেলা ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, থানার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। ওসি সাহেব অনুমতি দিলে মামলা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটা হয়েছে এটি সামান্য ঘটনা মাত্র। তবে উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করে দিলেই ভালো হয় বলে জানান তিনি।