আটঘরিয়ায় শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান নাতি টিটু গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার আটঘরিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কেএম রইচ উদ্দিন রবি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিন্নাত আলীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আটঘরিয়া থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামী হুমায়ুন কবির টিটু (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত টিটু মাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়ার নাতি ও মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে। এর আগে পুলিশ ফরিদ মিয়া (২৫) নামের আরো এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে। এই মামলার ৭ আসামীর মধ্যে এখনো প্রদান আসামীসহ ৫ আসামী পলাতক রয়েছে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আসিফ মো: সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, সাতজন আসামীর মধ্যে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
এর আগে বুধবার রাতে মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিন্নাত আলী বাদী হয়ে আটঘরিয়া থানায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, মাজপাড়া ইউনিয়নের সরাবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আহত রইচ উদ্দিন রবির অভিযোগ, ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়াডের সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতদরিদ্রের জন্য ২৫ শত টাকার সাহায্যের তালিকা যাচাই করার দায়িত্ব পরে তার উপর। তিনি যাচাই বাছাই শেষে দেখতে পান বেশিরভাগ আইডি কাড ও মোবাইল নম্বর ভুয়া এব রাঘবপুর গ্রামের মত আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে শামসুল ইসলাম বিশ্বাস ৫ বছর আগে মারা গেছেন তারও নাম তালিকায় রয়েছে। সব বিষয় তুলে ধরে তিনি সঠিক রির্পোট পেশ করেন। রির্পোটটি তাদের বিরুদ্ধে গেলে তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়। গত কয়েকদিন ধরে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে আসছিল। পরে সুপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবার রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়।
তার অভিযোগে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে আমি রামেশ্বরপুর বাজার থেকে মোটর সাইকেল যোগে মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিন্নাত আলীর সাথে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ী তারা বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ১০/১৫জনের একদল সন্ত্রাসী পথ গতিরোধ করে লাঠি শোঠা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট ও কুপাতে থাকে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসনীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।