আটঘরিয়ায় সিন্ডিকেট করে চালের দাম বৃদ্ধি, সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার অজুহাতে পাবনার আটঘরিয়ায় সিন্ডিকেট করে কোন কারণ ছাড়াই চালের দাম ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ৫০০ টাকা করে বাড়িয়েছে। ফলে খুচরা বাজারে মোটা চাল কেজিপ্রতি ৬ টাকা আর চিকন চাল কেজিপ্রতি ১২ টাকা বেড়েছে।
গত সপ্তাহে এই স্বর্ণা-৫ জাতের মোটা চাল বস্তাপ্রতি ১৫০০ টাকা বিক্রি করলেও এখন বিক্রি করছেন ১৮০০ টাকায়, আর জিরা মিনিকেট জাতের চিকন চাল গত সপ্তাহে বিক্রি করেছেন ১৮০০ টাকায় এখন বিক্রি করছেন ২৬০০ টাকায়। ফলে খুচরা বাজারে মোটা চাল গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা। চিকন চাল গত সপ্তাহে ছিল ৩৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা থেকে ৬০ টাকা।
হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের। তারা তাদের সামান্য রোজগারের টাকায় বেশী দামে চাল কিনতে হিমসিম খাচ্ছেন।
কিন্তু কেন এই চালের দাম বাড়ানো হলো, এর কোন সদুত্তর মিল মালিকেরা দিতে পারেননি। কেউ কেউ বলছেন, ধানের দাম বেড়েছে তাই। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, তারা আগেই কম দামে ধান কিনে মজুদ করেছে। সেই ধান ভেঙ্গে চাল করেই বিক্রি করছে। সিন্ডিকেট করে তারাই ইচ্ছামত দামে ধান কিনেছে। আবার এখন চালের দাম বাড়ানোর জন্য ধানের বাজার বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই মূহুর্তে ধানের দাম কিছুটা বেশী নির্ধারণ করলেও গরীব চাষীদের ঘরে এখন আর কোন ধান নেই। মৌসুমের শুরুতেই তারা ধান বিক্রি করে ধার দেন, দাদন, লোন পরিশোধ করেছেন। এখন দাম বেশী দিতে চাইলেও সিন্ডিকেটের সদস্যরা এখন তেমন ধান কিনছেনা। চালের দাম বাড়ানোর জন্য এটা একটা অজুহাত মাত্র।
মিল মালিকরা জানান, ধানের দাম বাড়ায় চালের দাম বাড়াতে হয়েছে।
দেবোত্তর বাজারে খুচড়া ব্যবসায়ী হাসেল আলী জানান, পাইকারীতে বেশী দাম নেয়ায় তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ করে চালের দাম দোকানীরা বেশী নেওয়ায় তাদেও নাভিশ্বাস উঠেছে।
চা বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, চায়ের দোকান বন্ধ থাকায় তাদের আর এখন কোন আয় রোজগার নাই। এমতবস্থায় চাউল তো কিনে ভাত খেতেই হবে। তিনি বলেন, একদিকে চাউলের দাম আকাশ চুম্বি অন্যদিকে দোকান বন্ধ থাকায় এখন বেকার। এ অবস্থায় চরম দু:চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত চলছে।
এদিকে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোমবার এক সভায় বলেন, চাউলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যেন কোন সিন্ডিকেল করে বেশী দামে বিক্রি করতে না পারে সেদিকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।