আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের রাজা হলেন চার্লস
বিদেশ: যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের সেন্ট জেমসেস প্রসাদে বিস্তৃত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রিন্স চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জকে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে সেন্ট জেমসেস প্রসাদে অ্যাকসেশন কাউন্সিল নামে একটি আনুষ্ঠানিক পরিষদের সামনে রাজা হিসেবে তৃতীয় চার্লসের অভিষেক হয়। এই অ্যাকসেশন কাউন্সিল ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদগণ এবং ক্যান্টারবুরির আর্চবিশপকে নিয়ে গঠিত। সেন্ট জেমসেস প্রসাদ ঘোষিত সার্বভৌম রাজার সরকারি বাসভবন। তৃতীয় চার্লসকে রাজা ঘোষণার আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু ঘোষণা করেন। এরপর শুরু হয় চার্লসকে রাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া। ‘গার্টার কিং অব আর্মস’ প্রাসাদের ব্যালকনি থেকে নতুন রাজার ঘোষণা পাঠ করেন। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পেটে বাজানো হয় ‘গড সেভ দ্য কিং’। প্রাসাদের বাইরে সমবেত মানুষেরাও এ সময় গেয়ে ওঠে ‘গড সেভ দ্য কিং’। ট্রাম্পেটের তুর্যনিনাদের সঙ্গে লন্ডনের হাইড পার্ক ও টাওয়ার অব লন্ডন থেকে তোপধ্বনি করা হয়। বিবিসি জানিয়েছে, তৃতীয় চার্লসকে রাজা ঘোষণার পর ঘোষণায় স্বাক্ষর করা শুরু হয়। প্রিন্স উইলিয়াম ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি তা প্রত্যক্ষ করেন। রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শপথ নেওয়ার আগে প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রানির আদর্শ অনুসরণ করে যাওয়ার অঙ্গীকারও করেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা পার্কার, প্রিন্স উইলিয়াম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ শত শত গণ্যমান্য ব্যক্তি। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, ডেভিড ক্যামেরন, বরিস জনসন এবং টেরিজা মে-কে স্বাক্ষর করার জন্য অপেক্ষমানদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ইতিহাসে এবারই প্রথম টিভিতে প্রচারিত হয়েছে রাজা ঘোষণার এই অনুষ্ঠান। প্রথমে মৃত রানির জন্য পতাকাগুলো অর্ধনমিত অবস্থায় থাকলেও নতুন রাজার সম্মানে সেগুলো পুরোপুরি উত্তোলন করা হয়। এরপর রোববার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যজুড়ে তৃতীয় চার্লসের রাজা হওয়ার ঘোষণা প্রচার করা হবে, তারপর পতাকাগুলো ফের অর্ধনমিত হবে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন সিংহাসনে অধিষ্ঠিত থাকার পর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকালে ৯৬ বছর বয়সে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যুবরণ করেন।