আপেল ও টমেটো রক্ষা করবে ধূমপায়ীদের

স্বাস্থ্য: ধূমপান নিয়ে সারা বিশ্বের চিকিৎসক এবং গবেষক মহলে ভাবনার শেষ নেই। ধূমপানের কুফল সম্পকের্ও চলছে জোরদার প্রচার। আগামি ৫০ বছরে ধূমপানঘটিত অসুখ প্রায় মহামারীর আকার নেবে সারা পৃথিবীতে। এই যখন অবস্থা, ঠিক তখনই আতঙ্কের মধ্যেও আশার আলো দেখালেন আমেরিকার একদল গবেষক। তারা জানালেন, ধূমপানের ফলে যাদের ফুসফুস চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের রোগমুক্ত নতুন জীবনের স্বাদ দিতে পারে লাল টকটকে পাকা টমেটো এবং সতেজ আপেল। জন হপকিন্স ব্লুমবাগর্ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের দীঘর্ গবেষণায় উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূণর্ তথ্য।
১০ বছর বা তারও আগে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন, এমন প্রায় ৫০ জনকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিলেন তারা। দেখা গেছে, নিয়মিত টমেটো এবং আপেল খাওয়ার ফলে তাদের ফুসফুস থেকে ধূমপানের ফলে ক্ষতির ছাপ আশ্চযর্জনকভাবে মুছে গেছে। এ ছাড়াও নিয়মিত প্রচুর ধূমপান করেন, এমন ২০ জন ব্যক্তিকে নিয়মিত আপেল ও টমেটো খাইয়ে দেখা গেছে নিদির্ষ্ট একটি সময়ের মধ্যে ধূমপানের ফলে যতটা ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার কথা, তার তুলনায় ক্ষতি হয়েছে নামমাত্র।
২০০৪ সালে প্রথমবার ৬৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান এবং ফুসফুসের অবস্থা নিয়ে গবেষণা শুরু করে এই গবেষক দলটি। ১০ বছর পরে ফের তাদের ওপরই পরীক্ষা চালানো হয় এবং ফুসফুসের অবস্থা বিচার করে নিয়মিত টমেটো, আপেল খাওয়ানো শুরু হয়। সেই গবেষণারই রিপোটর্ হাতে এসেছে সম্প্রতি।
তবে শুধু আপেল বা টমেটোই নয়, গবেষকরা বলছেন, যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক যদি প্রতিদিন গড়ে তিনটি করে তাজা ফল খান, তা হলে তাদের ফুসফুস অন্যান্যের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ ভালো থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সব থেকে ভালো কাজ দেবে টমেটো ও আপেল। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত ফলে এই সুফল মিলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন গবেষকরা।
সূত্র : ইন্টারনেট

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!