আবারো অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার
অর্থনীতি : দিনাজপুরের হিলিতে আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। আমদানি কমে যাওয়ায় একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। ফলে সম্প্রতি তারা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে সরবরাহ হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মূলত এ কারণেই বেড়েছে পণ্যটির দাম। আমদানীকৃত পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ৩ টাকা করে বেড়েছে। একদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬-৩২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে দাম বেড়ে এসব পেঁয়াজ ২৯-৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় জানায়, স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। তবে আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ কমেছে। ফলে দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। বন্দর দিয়ে কয়েকদিন ধরে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হলেও নতুন করে দক্ষিণ ভারতের বেলোরি জাতের পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে ২৯-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল এ পেঁয়াজ। তবে নাসিক জাতের পেঁয়াজ আগের দামেই (৩২ টাকা কেজি) বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন বেলোরি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩১ টাকা কেজি দরে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোজাম্মেল হোসেন ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে লাভের মুখেই ছিলেন আমদানিকারকরা। কিন্তু দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় আমদানীকৃত পেঁয়াজ বাধ্য হয়ে লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন তারা। এদিকে আমদানি কমিয়ে দেয়ায় বাজারে আবারো চাহিদায় ঊর্ধ্বমুখিতা লক্ষ করা যাচ্ছে। মূলত এ কারণেই পণ্যটির দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। তবে আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫-২০ ট্রাকে নেমে এসেছে। বন্দর দিয়ে ১৪ থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ কর্মদিবসে ৮৮টি ট্রাকে ২ হাজার ৪৮৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। আমদানির পর পরই কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত খালাস করে আমদানিকারকদের কাছে সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।