আম্পানের আঘাতে বড় ক্ষতির হিসেব গুনছে সাঁথিয়ার কলা লিচু বাগান মালিকরা
পিপ (পাবনা) : ঘূর্ণিঝড় আম্পান তো চলে গেলো বেশ ক’দিনই। কিন্তু এখনো এই ঝরের তীব্রতা ভাসছে অনেকেরই চোখের কোনে। কি ভয়ঙ্কর ছিল সেই ঝরের রাতটি! অনেকেই হয়তো দিনে দিনে ভূলে যাচ্ছেন। কিন্তু, যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষয়ক্ষতির হিসেবটা এখনো গুনতে হচ্ছে নিয়মিত।
তেমনিভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত পাবনা’র সাঁথিয়া উপজেলার অন্তর্গত নন্দনপুর ইউনিয়ন এর মাধপুর-মাইবাড়িয়া এলাকার বাগানমালিক ইকতিয়ারের। উক্ত ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে অনেকের বাগানের গাছগাছালি সহ বাগানের ফল। বিশেষ করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কলা, পেঁপে এবং লিচু চাষীরা। বাগানের জমির অধিকাংশ গাছই পড়েছে ক্ষতির মুখে। মাধপুর গ্রামের মরহুম মোসলেম আমিনের পুত্র কৃষক ইখতিয়ার হোসেন এর ক্ষতি চোখে পড়ার মত।
তার বাগানের প্রায় সব গাছই লন্ডভন্ড করে দিয়ে গিয়েছে এবারের সেই দানবীয় ঘূর্ণিঝড় আম্পান। কৃষক ইখতিয়ারের ১০ বিঘা কলা বাগান, ৩ বিঘা লিচু বাগান এবং ৩ বিঘা পেঁপের বাগানের জমি পড়েছে এই ক্ষতির মধ্যে। তার সর্বমোট ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে তার বাগান ঘুরে দেখা সেই ভয়াল ঘূর্ণিঝড় এর তান্ডবের চিহ্নাদি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক ইখতিয়ার এই প্রতিবেদক কে বলেন, “এতদিনের তিলে তিলে সব পরিশ্রম আমার মাটি হয়ে গেলো। এত টাকা খরচ করে বাগান করলাম।
এখন চলমান লিচুর মৌসুম। অথচ বাগানের লিচু গুলো বিক্রি করতে পারলাম না৷ কলা বাগানে কলা ঝুলছে কিন্তু একটা গাছও দাঁড়িয়ে নেই, পেঁপে বাগানে পেঁপে আসার আগেই সব ঘূর্ণিঝড়ে নষ্ট হয়ে গেলো।” বাগানচাষী ইখতিয়ার এর আহাজারি এমনই ছিল। মাধপুরের প্রতিটি বাগান ঘুরেই চোখে পড়েছে এমন চিত্র। কৃষকদের এই ক্ষয়-ক্ষতির খেসারত হয়তো দিতে হবে আগামীর দিনগুলোতে।