আরসিবিসি কর্মকর্তার সাজায় রিজার্ভের অর্থ আনা সহজ হবে
ডেস্ক রিপোর্ট : আরসিবিসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপকের সাজা হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনা সহজ হবে। তবে এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জোর আইনি প্রক্রিয়া চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মামলার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসের যেকোনো দিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তা দায়ের হবে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন ফেডারেল ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইন থেকে মোট ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার ফেরত আনা হয়। তবে, এখনো উদ্ধার হয়নি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার বা সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা। চুরি যাওয়া এসব অর্থ চলে যায় ম্যানিলার আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার রোড শাখায়। সেসময় শাখাটির ব্যবস্থাপক ছিলেন মায়া দেগুইতো।
এ ঘটনায় ফিলিপাইনের দায়ের করা মামলার প্রথম রায়ে গত বৃহস্পতিবার মায়া দেগুইতোকে সর্বোচ্চ ৫৬ বছর সাজা দেয় আদালত। অর্থ পাচারের ৮টি অভিযোগের প্রতিটিতে ৪ থেকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড হয় তার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিপাইনের আদালতের রায় বাংলাদেশের অর্থ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অর্থ উদ্ধারে কূটনৈতিক তৎপরতার পর এখন চলছে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের মামলা দায়েরের পর অর্থ আদায়ে ৫ থেকে ১৩ বছর সময় লাগার নজির আছে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, যত দ্রুত সম্ভব চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনা হবে।