আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার

স্বাস্থ্য: হাড় অথবা জয়েন্টের ব্যথা আর্থ্রাইটিস। এই রোগের অসহনীয় ব্যথা থেকে বাঁচতে নিচের খাবারগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অতিরিক্ত চিনি
আপনার যদি আর্থ্রাইটিস থাকে, তবে অবশ্যই চিনি খাওয়ার পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। বিশেষ করে ক্যান্ডি, সফট ড্রিংকস, সোডা, সস বা আইসক্রিমকে পুরোপুরি না বলতে হবে। যেকোনও ধরনের ডেজার্টেও চিনির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস ও রেড মিট
বাজারের প্রক্রিয়াজাত মাংস বা রেড মিট যেমন গরু, ছাগল, মহিষের মাংসও এ রোগের লক্ষণগুলো বাড়িয়ে দেয়। এসব খাবার আপনার দেহের ইন্টারলিউকিন-৬, সি-রিয়েক্টিভ প্রোটিন এবং হিমোসিস্টিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা দেহে প্রদাহের কারণ।
গ্লুটেনযুক্ত খাবার
গ্লুটেন হচ্ছে এক ধরনের প্রোটিন যেটা মূলত গম, রাই, বার্লি ইত্যাদিতে থাকে। এ সবে এক ধরনের আঠালো পদার্থ থাকে এসব খাবারে। যা খাবারটিকে বেক করার সময় ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে। মূলত রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপস, সসে গ্লুটেন থাকে। এটিও আর্থ্রাইটিসের জন্য ক্ষতিকর।
অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার
এসব খাদ্য তালিকায় আছে মিষ্টি বা মসলাদার স্ন্যাক্স, কোমল পানীয়, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও স্যুপ, হিমায়িত অথবা দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষিত খাবার, চর্বি দিয়ে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি। এগুলোর পাশাপাশি ফুড প্রিজারভেটিভ আমাদের অস্থি ও জয়েন্টের প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়। এগুলো আর্থ্রাইটিস ঘটানোর পেছনেও দায়ী।
বাড়তি লবণ
লবণ খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দেওয়া আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। ভর্তা, শুঁটকি, আচার, সালাদ, টেস্টিং সল্ট, সয়া সস, অয়েস্টার সস, ক্যানড স্যুপ, পিৎজা, চিজ, প্রক্রিয়াজাত মাংসসহ অনেক খাবারে বাড়তি লবণ দেওয়া হয়। এগুলো হাড়ের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র, ধমনি, কিডনি ও মস্তিষ্কের ওপর চাপ তৈরি করে ও ব্যথা বাড়ায়।
ভাজাপোড়া
অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এ- প্রোডাক্টস (এজিই) হলো সুগার, প্রোটিন ও আরও কয়েকটি উপাদানের সমন্বয়। বাইরের ভাজাপোড়া খাবারে এজিই বেশি থাকে। বিভিন্ন প্রকার খাবারের ভাজা মাংসেও এটি থাকে। এরপর যথাক্রমে ভেজিটেবল অয়েল, পনির ও মাছে এজিইর উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস, প্যান-ফ্রাইড স্টেক, গ্রিলড মিট এবং ডুবোতেলে ভাজা মাছ পরিহার করতে হবে। কারণ উচ্চ-তাপমাত্রায় রান্নার সময় এতে থাকা সুগার, প্রোটিন বা ফ্যাটগুলোর সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে উচ্চমাত্রার এজিই সৃষ্টি করে, যা দেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রক্রিয়াগুলোসহ সেলুলার কর্মহীনতা এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে আর্থ্রাইটিসের সমস্যার বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। সূত্র: হেলথ লাইন

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!