আ. লীগ সহ-সভাপতিকে তুলে নিয়ে মারপিটের অভিযোগ
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগরের সুলতান গেট এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুর রশিদ মোল্লাকে অনন্ত হল এলাকা থেকে একদল দূর্বৃত্তরা তুলে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করেছে । আজ দুপুরে পাবনা শহরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সন্ত্রাসীরা রশিদ মােল্লাকে অচেতন অবস্থায় শহরের বাইপাস এলাকার সততা ক্লিনিকের সামনে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনা তাৎক্ষনিক ভাবে জেলা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।
রশিদ মোল্লার সঙ্গী সুলতান গেট এলাকার রুহুল আমিন জানান, রশিদ মোল্লা অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসককে দেখাবেন বলে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে পাবনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে। পথিমধ্যে পাবনা শহরের অনন্ত হল এলাকায় পৌছেলে একদল সন্ত্রাসী আমাদের সিএনজি গতিরোধ করে কিছু বুঝে উঠার আগেই রশিদ মোল্লাকে নামিয়ে নিয়ে যায়। তার সাথে আমি ছিলাম বিষয়টি তারা বুঝতে পারেন নাই। ফলে আমি সিএনজিতে থেকে তাৎক্ষনিক আমি নেমে তার আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি অবহিত করি। রশিদ মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে পাবনার পুলিশ সুপার ও সুজানগর থানা পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়। সন্ত্রাসীরা পুলিশী তৎপরতা বুঝতে পেরে রুশদ মোল্লাকে রড ও জিআই পাইপ দিয়ে বেধরক মারপিট করে মূমুর্ষ অবস্থায় শহরের বাইপাস এলাকায় নামিয়ে দেয়।
জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব বাপ্পি জানান, শালগাড়িয়া বাইপাস এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় ওই এলাকায় ছিলাম পরে দেখি কিছু লোক একজন মুরুব্বীকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে মাইক্রোবাস যোগে চলে যায়। তাৎক্ষনিক আমি তাকে উদ্ধার করে পাশের সততা ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। এখন ওই মুরুব্বীর অবস্থা অনেকটা ভালো বলেও জানান বাপ্পি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা এ ধরনের একটি বর পেয়ে তাৎক্ষনিক শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশী তল্লাসী ও ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। পরে শুনতে পাই তাকে শহরের বাইপাসে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে রেখে গিয়েছেন। বিসয়টি খোজ নেয়া হচ্ছে কারা এ ঘটনার সাে জড়িত। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।