ইন্দোনেশিয়ায় কারাগার থেকে পালিয়েছে ৯০ বন্দি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার চলতি বছরের মে মাসে রিয়াও প্রদেশে গণ প্রার্থনার পর জনাকীর্ণ একটি কারাগার থেকে পালিয়েছিল প্রায় ৪০০ বন্দি।
এছাড়া ২০১৩ সালের জুলাই মাসে সুমাত্রা প্রদেশের রাজধানী মেদান কারাগারে প্রাণঘাতী দাঙ্গার পর পালিয়ে ছিলো ২৪০ বন্দি। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি কারাগার থেকে ৯০ জন বন্দি পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নামাজের সময় বান্দা আচেহ প্রদেশের ওই কারাগার থেকে এসব বন্দিরা পালিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১১৩ জন বন্দি পালিয়ে গেলেও পরে ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধান চলছে। ওই কারাগারের বেশিরভাগ সাজাপ্রাপ্তই মাদক সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করছিলেন। কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ইন্দোনেশিয়ায় নতুন নয়।
শুক্রবার দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদে কুসমান্তোকে উদ্ধৃত করে ফরাসি বার্তা সংস্থা এফপি জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে ল্যামবার্গো কারাগারে মোট ৭২৬ জন বন্দি ছিলো। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নামাজের সময়ে কারাকক্ষ থেকে বন্দিদের বের করা হলে ওই সময়ে তারা পালিয়ে যায়। বান্দা আচেহ’র পুলিশ প্রধান ট্রিসনো রিয়ান্তো বলেছেন, বন্দিদের বেশিরভাগই মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে পালানোর পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিল তারা।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, এক রক্ষীকে আঘাত করে অভ্যর্থনা কক্ষে থাকা শাবল ও বারবেল (ব্যায়ামাগারের ওজন দন্ড) ব্যবহার করে লোহার তার ও শিক কেটে কারাগারের সামনের ধানখেত দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, ওই রক্ষীর আঘাত মারাত্মক নয়। ঘটনার পর কারাগারের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ।
এছাড়া পালানো বন্দিদের আটক করতে রাস্তায় তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। আচেহ প্রদেশের প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান রিও সেপটিয়ান্ডা দোজামবেক পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের তিন দিনের মধ্যে আত্মসমপর্ণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া তাদের কারাগারে ফিরিয়ে আনতে স্বজনদের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করারও আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, তাদের আইন মানতে বাধ্য করতে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পরোয়া করবো না।