ইরাকের ৮০ শতাংশ শিশু সহিংসতার শিকার: ইউনিসেফ
ডেস্ক: ইরাকের শতকরা ৮০ ভাগ শিশুই বাড়ি কিংবা স্কুলে সহিংসতার শিকার হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
মঙ্গলবার এক জরিপে একথা জানায় সংস্থটি। সামরিকভাবে পরাজিত হওয়ার পর থেকে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দেশটির বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। বিশ্লেষক ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দেশটির পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের সুন্নি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এ ধরনের হামলা বাড়ছে। তবে রাজধানী বাগদাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
ইউনিসেফ জানায়, ‘ইরাকের বেশিরভাগ দরিদ্র শিশু সরকারি সহায়তা পায় না। ফলে তাদের শিক্ষাগ্রহণ ঝুঁকির মুখে পড়ে। দেশটির শিশুরা ভয়াবহ সহিংসতা ও বৈষম্যর শিকার।’
সংস্থাটি জানায়, ইরাকের ৯২ শতাংশ শিশুই প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হয়। তাদের অর্ধেকই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা। তবে উপরের শ্রেণিতে উঠতে উঠতে এই পার্থক্য বাড়তে থাকে। স্নাতক সম্পন্ন করে ২৫ শতাংশেরও দরিদ্র জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির অর্ধেক সরকারি স্কুলেরই পুনর্বাসন দরকার, প্রতি তিনটি স্কুলের একটি একাধিক শিফট ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।
শিশুদের শিক্ষা খুবই প্রয়োজন সেখানে। ইরাকি কর্তৃপক্ষকে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। তারা জানায়, শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। অনেক বছর ধরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্কুলভবন।
বিগত বছরগুলোতে এই হার আরও বেড়েছে। দেশটির শিক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের মধ্যে দেশটিতে ২০ হাজার স্কুল প্রয়োজন। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশটিতে ১ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ৪২৮ জন ইরাকির বয়স ১৫ এর কম, যা মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ।