ঈশ্বরদীতে সেলিম হত্যার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম (৬৭) কে বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সেলিম হত্যাকারীদের গ্রেফতার, দৃশ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি ও হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঈশ^রদী শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে মানববন্ধন করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধনের সময় শহরের প্রধান সড়ক এক ঘন্টা বন্ধ করে রাখেন।
ঈশ্বরদীর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে, বক্তব্য রাখেন ঈশ^রদীর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুজ্জামান বিশ^াস, ঈশ^রদীর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নায়েব আলী বিশ^াস, ঈশ^রদীর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল খালেক, পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইলাম বাবু মন্ডল, পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পাকশী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলাম হব্বুল, পাকশী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা তহুরুল ইসলাম মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বুদু, জহুরুল ইসলাম, রেজাউল করিম রাজা, ঈশ^রদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, সাপ্তাহিক ঈশ^রদীর সম্পাদক সেলি ম সরদার ও পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুজ্জামান পিন্টু। পথসভা পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু।
বক্তারা বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে হত্যা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার পর যদি আসামী ধরতে দেরি হয়, তাহলে সাধার ন মানুষের সময় কি হবে। পাকশীতে আগের খুনের বিচার না হওয়াতে একের পর এক গুলিতে হত্যা হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ির কারণে রুপপুরে রক্তের স্্েরাত বয়ে চলেছে। সেলিম একজন নিরিহ প্রকৃতির প্রতিবাদী মানুষ ছিলেন। হয়তো সেজন্য তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেলিমের মতো মুক্তিযোদ্ধারা জিবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে বলেই আজ দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। পাকশীতে হত্যার জনপদে পরিনত হয়েছে, এসব বন্ধ করতে হবে। সেলিম হত্যাকারীদের দ্রƒত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।