করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিশ্বমহামারি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই রাষ্ট্রটি করোনাভাইরাস সংক্রমণে এখন সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৭ লাখ ১০ হাজার ২৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ হাজার ১৫৮ জনের।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডোমিটার ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্যানুসারে বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২২ লাখ ৫৯ হাজার এক জন। মারা গেছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯০ জন। অবস্থা আশঙ্কাজনক ৫৬ হাজার ৯৬৩ জনের।
আর সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৪৯৭ জন। যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩২ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে আড়াই হাজার জনের।
দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬০ হাজার ৫১০ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছেও নেই অন্য কোনো দেশ। করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। সেখানে এ পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫১ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৭ হাজার ১৩১ জন।
অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশ এবং মৃতের প্রায় অর্ধেকই নিউ ইয়র্কে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৫৩ জন। আর মারা গেছে এক হাজারের বেশি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র সামলে উঠেছে উল্লেখ করে লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন।
তার জবাবে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রিউ কৌমো এক টুইটার বার্তায় নাগরিকদের উদ্দেশে বলেছেন, নিউইয়র্কে প্রতিদিন দুই হাজার মানুষ করোনাভাইরাসজনিত অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাই যদি কেউ বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তার কথায় কান দেবেন না।
অন্যদিকে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেনে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৯০ হাজার ৮৩৯, ইতালিতে এক লাখ ৭২ হাজার ৪৩৪, ফ্রান্সে এক লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৯, জার্মানিতে এক লাখ ৪১ হাজার ৩৯৭, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৮ হাজার ৬৯২ এবং করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৭১৯। এছাড়াও, দেশগুলোতে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২০ হাজার ২ জন (স্পেন), ২২ হাজার ৭৪৫ (ইতালি), ১৮ হাজার ৬৮১ (ফ্রান্স), চার হাজার ৩৫২ (জার্মানি), ১৪ হাজার ৫৭৬ (যুক্তরাজ্য) এবং চার হাজার ৬৩২ (চীন)।