করোনাভাইরাস: আরও ৪১ মৃত্যু, শনাক্ত ২৮৬৮
এফএনএস: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ২ হাজার ৮৬৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৯ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৮২২ জনে দাঁড়াল। আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩ হাজার ২৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯১ জন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা আড়াই লাখ পেরিয়ে যায় গত ৭ অগাস্ট।
এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ অগাস্ট সেই সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের ৩২ জন পুরুষ, ৯ জন নারী। ৮ জন হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৩০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ৫ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৩ হাজার ৮২২ জনের মধ্যে ৩ হাজার ১৯ জন পুরুষ এবং ৮০৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৪৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়া ১ হাজার ৭৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫১২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৩৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৯৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ১ হাজার ৮৩১ জন ঢাকা বিভাগের, ৮৫৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৫০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩১৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৪৯ জন বরিশাল বিভাগের, ১৭৯ জন সিলেট বিভাগের, ১৬০ জন রংপুর বিভাগের এবং ৮২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯১টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ৭ হাজার ৫৫৬টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।