কেয়ামতের দিন প্রত্যেকে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে
ধর্মপাতা: কেয়ামতের বিভীষিকাময় ময়দানে কেউ কারো হবে না। সেই সঙ্গীন মুহূর্তে সবাই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ করতে থাকবে। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ নিজের ভাই, নিজের মা, নিজের পিতা, নিজের স্ত্রী ও সন্তানাদি থেকে পালাবে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর সেদিন এমন সময় এসে পড়বে, সে নিজেকে ছাড়া আর কারো প্রতি লক্ষ করার মতো অবস্থা থাকবে না।’ (সুরা : আবাসা, আয়াত : ৩৪-৩৭)
হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘প্রত্যেক ব্যক্তি হাশরের মাঠে ভয়ে বলতে থাকবেÑআমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান। একমাত্র মুহাম্মদ (সা.) উম্মত নিয়ে চিন্তা করবেন।’ (বুখারি, হাদিস নং : ২৭১২)
হাশরের মাঠে শয়তান উত্থিত হবে। তখন মানুষ শয়তানকে দায়ী করবে। কিন্তু সে নিজের সাফাই গাইবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন সব কাজের ফয়সালা হয়ে যাবে, তখন শয়তান বলবে, অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের সত্য ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং আমি তোমাদের সঙ্গে ওয়াদা করেছি, অতঃপর তা ভঙ্গ করেছি। তোমাদের ওপর আমার কোনো ক্ষমতা ছিল না, কিন্তু এতটুকু যে আমি তোমাদের ডেকেছি, অতঃপর তোমরা আমার কথা মেনে নিয়েছ। অতঃপর তোমরা আমাকে ভৎর্সনা কোরো না এবং নিজেদেরই ভৎর্সনা করো।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ২২)
তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত, শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে নিজের জীবন ও আমল-আখলাক বরবাদ না করা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।