কোয়ারেন্টাইন অমান্য করলেই ১ লাখ টাকা জরিমানা
বিদেশ : ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাস মোকাবেলা করার ব্যবস্থা জোরদার করতে কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন। এ বৈঠকে প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষা করা, জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। এই বৈঠকে ব্রিটিশ নাগরিকদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়ে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে। বিধিনিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা কিংবা ‘আইসোলেশন’ এবং কোয়ারেন্টাইন থেকে পলাতক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১০০০ পাউন্ড বা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
কোভিড -১৯-এ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জনসাধারণকে সর্বশেষ তথ্য দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সোমবার বিকেলে কোবরা কমিটির জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করবেন তিনি। এর আগে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই)এর বরাতে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছিল যে, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের মহামারী আগামী বছরের বসন্ত পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এর ফলে ৭০ লাখ ৯০ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই বৈঠক করতে যাচ্ছেন বরিস জনসন।
রোববার করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৫ জনে পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষিতে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন যে, ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের চার মাস পর্যন্ত বাসায় থাকতে বলা হতে পারে। গত মাসে পাস হওয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা (করোনাভাইরাস) রেগুলেশনস-২০২০-এ বলা হয়েছে, করোনোর কারণে বিচ্ছিন্ন (আইসলেশন) অবস্থায় থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
এ ক্ষেত্রে ‘প্রয়োজন হলে সশস্ত্র বাহিনী’ ব্যবহার করা হতে পারে। আসছে সপ্তাহগুলো থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। বিধিনিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা কিংবা ‘আইসোলেসন’ থেকে পলাতক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১০০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। বরিস জনসন এই বিচ্ছিন্নতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা এবং এক সদস্যের লক্ষণ দেখা দিলে পুরো পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, প্রাক্তন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ব্লানকেট বলেছেন, ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের আলাদা করার ধারণাটি প্রয়োগ করা হলে তা সমস্যা তৈরী করতে পারে। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে তিনি বলেছেন, আমার এ বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে যে, ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতা আরোপ করা হলে তা আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।