ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে অন্যতম প্রাণঘাতি দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। নতুন করে পাওয়া মৃতদেহগুলো রাজ্যের উত্তরদিকের শহর প্যারাডাইসের ভেতর ও আশপাশের অঞ্চল থেকে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু ‘ক্যাম্প ফায়ার’ অগ্নিকান্ডের আওতাধীন এলাকাগুলোতেই অন্তত ২২৮ জনের খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আগুনে প্রায় ৭ হাজার ২০০টি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, ঝুঁকিতে আছে আরও প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। এ আগুনে মৃতের সংখ্যা গ্রিফিথ পার্ক অগ্নিকা-ের প্রাণহানিকেও ছাপিয়ে গেছে। ১৯৩৩ সালের ওই অগ্নিকান্ডের ৩১ জন নিহত হয়েছিলেন।
সোমবার স্থানীয় সময় বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বুটে কাউন্টির শেরিফ কোরি হোনেয়া মৃত ও নিখোঁজদের সংখ্যা নিশ্চিত করেন। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর।
ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণে ভিন্ন দাবানলটিও হামলা রূপ ধারণ করেছে। এরইমধ্যে ‘উলসি ফায়ার’ নামে খ্যাত এ অগ্নিকান্ডে দুইজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। মালিবুসহ সমুদ্রতীরবর্তী বেশ কয়েকটি শহরকে পরিণত করেছে ধ্বংসস্তূপে। দাবানল ক্যালিফোর্নিয়াজুড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়াকে ‘ভয়াবহ দুর্যোগগ্রস্ত’ রাজ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটি যা কেন্দ্রে অবস্থিত সাহ্য্যা পাবে। দাবানল মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যের অল্পসংখ্যক ৩হাজার দমকলকর্মীও পেশা করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। গত অল্পসংখ্যক ৩বছর ধরে ক্যালিফোর্নিয়ায় একের পর এক ভয়াবহ দাবানলের দেখা মিলছে। এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের দিকেও ইশারা আবহাওয়াবিদদের। “এটা নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়, এটাই নতুন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি,” বলেছেন রাজ্যের গভর্নর জেরি ব্রাউন।