ক্ষতিকর কাঁচা লবণ

লাইফস্টাইল: অনেকেই রান্না করা খাবারের ওপর লবণ ছিটিয়ে খান। এভাবে কাঁচা লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লবণের খনিজ উপাদান শরীরের জন্য উপকারী হলেও মাত্রা বেশি বা কম দুটোই শরীরের জন্য ভালো নয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে লবণ কতটুকু এবং কীভাবে খাওয়া ভালো সে সম্পর্কে জানানো হল।
কাঁচা লবণের অপকারিতা: অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে রক্তচাপ বৃদ্ধি, পেটে ক্যান্সার, স্থূলতা এমনকি হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে হৃদয় ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ও স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে কাঁচা লবণ।
রান্না করা খাবারে লবণ ছিটিয়ে খেলে ক্ষতি বেশি: বিশ্বাস করা হয়, খাবারে বাড়তি লবণ নেওয়া মানে অসুখকে দাওয়াত দেওয়া। রান্না করা হলে লবণের লৌহযৌগের সরলীকরণ ঘটে এবং তা খুব সহজেই শোষিত হয়। কাঁচা লবণের লৌহযৌগ একই থাকে এবং তা চাপ বাড়ায়। ফলে শরীরে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
কম লবণও ক্ষতিকর: বেশি লবণ খাওয়া যেমন উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী তেমনি লবণ না গ্রহণ করাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে মৃত্যু ঝুঁকিও থাকে।
গবেষণা অনুযায়ী, হৃদরোগ ও অন্যান্য কারণে মৃত্যুর হার লবণ বেশি খায় এমন মানুষের তুলনায় লবণ খায় না এমন মানুষদের সংখ্যা বেশি।
যতটা লবণ খাওয়া উচিত: আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক দুই চা-চামচ লবণ খাওয়া দরকার।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ তানিয়া কাপুর জানান, ১০ গ্রাম লবণে ৪০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম থাকে যা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের দৈনিক আধা চা-চামচের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়।
তৃষ্ণা কমায় ক্ষুধা বাড়ায়: ক্লিনিকল ইনভেস্টিগেইশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার তৃষ্ণা কমায় এবং ক্ষুধা বাড়ায়।
তাই বলা যায়, বাড়তি লবণ সব দিক থেকেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
বিকল্প পন্থা: খাবারে বাড়তি লবণ ছাড়া যদি চলতে না পারেন তাহলে ‘সেন্ধা’ লবণ খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা প্রক্রিয়াজাত নয় তাই লবণ হিসেবে খাওয়া নিরাপদ।
পরামর্শ
খাবারে বাড়তি লবণ নেওয়া বন্ধ করা উচিত। একেবারেই লবণ খাবেন না- এমন মনোভাব এড়িয়ে চলতে হবে। দুই পন্থাই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
সুস্থ থাকতে ও খাবারের স্বাদ বাড়াতে পরিমিত লবণ খাওয়া উচিত।
ছবি: রয়টার্স।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!