গণফোরামে যোগ দেননি এ কে খন্দকার
ডেস্ক রিপোর্ট : ড. কামাল হোসেনের গণফোরামে মুক্তিবাহিনীর উপ-অধিনায়ক এ কে খন্দকারের যোগ দেয়ার গুঞ্জন সত্য প্রমাণ হয়নি। কয়েকজনের দলে যোগদান উপলক্ষে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অপেক্ষায় রেখে আসলেন না খন্দকার।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়, গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে গণফোরামে যোগ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে গণফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বলেছিলেন, ‘এ কে খন্দকারের পাশাপাশি গণফোরামে যোগ দিচ্ছেন একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম।’
এই যোগদান উপলক্ষে বেলা দুইটায় সংবাদ সম্মেলনটি ডাকা হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। উপস্থিত ছিলেন ড. কামালসহ গণফোরামের শীর্ষ নেতারা। বক্তব্যপর্ব চলে বেলা তিনটা পর্যন্ত। কিন্তু এলেন না খন্দকার।
কেন এলেন না মুক্তিবাহিনীর উপ অধিনায়ক? এমন প্রশ্নে ড. কামাল বেমালুম অস্বীকার করেন খবরটি। বলেন, ‘না এগুলো পত্র পত্রিকায় স্পেকুলেশন (গুঞ্জন) হয়েছে। আমাদের সূত্রে ওই খবর দেওয়া হয় নাই।’
একে খন্দকার বিমানবাহিনীর প্রধান ছিলেন। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮৬ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯০ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি এরশাদ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।
এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন। বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন একে খন্দকার।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা একে খন্দকারকে মন্ত্রী করা হয়। তাকে দেয়া হয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
তবে একটি বই প্রকাশ নিয়ে একে খন্দকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দূরত্ব বাড়ে। বইটির নাম ১৯৭১: ভেতরে বাইরে। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল নেতাদের তোপের মুখে পড়েন এ মুক্তিযোদ্ধা। এর পর থেকেই তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মণ্টু ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘না তো, এ কে খন্দকারের আমাদের সাথে যোগ দেয়ার কথা হয় নাই। আপনারা যে কোথায় পান এই কথা।’
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবরটি আসার কথা তুলে ধরলে মণ্টু বলেন, ‘যে গণমাধ্যমে এই সমস্ত খবর দিয়েছে, সেটি তাদের বিষয়। আমাদের দলের পক্ষ থেকে এমন কোন খবর দেয়া হয় নাই।’