‘গোল আলু’ হয় না আলু খেলে
ডেক্স রিপোর্ট : আলু খেয়ে ওজন বাড়ার কারণ হচ্ছে এই সবজির অস্বাস্থ্যকর রান্না পদ্ধতি। প্রতিদিনের তরকারিতে বেশিরভাগ সময় আলু ব্যবহার করা হয়। আলুতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। আবার শুধু আলু খেয়েও ওজন কমানো যায়। পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই বিষয়ে নিচে বিস্তারিত জানানো হইল।
আলুর পুষ্টি
১০০ গ্রাম আলুতে ১০০ ক্যালরি থাকলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা কিন্তু শূন্য। এতে আছে আঁশ, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। মনে রাখবেন, আলু সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাবার একে অস্বাস্থ্যকর বানায় রান্নার পদ্ধতি।
একটি মাঝারি মাপের আলুতে ৫ গ্রাম প্রোটিন, ১৬৮ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আঁশ, ১ গ্রাম শর্করা, ০.২ গ্রাম চর্বি, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ১১ মি.গ্রাম সোডিয়াম পাওয়া যায়। এত পুষ্টিগুণ থাকার পরেও আলুকে কেবল ওজন বাড়ার জন্য দায়ী করা হয়, স্বাস্থ্যকর সবজি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাসে আলু
আলু দিয়ে খাবার গ্রহণ করা নিয়ন্ত্রণ বা ডায়েট পরিকল্পনার মানে হচ্ছে, অন্য কোনো খাবার না খেয়ে দিনে তিন থেকে পাঁচ বার আলু খাওয়া হয়। মনে রাখতে হবে, আলু দিয়ে ডায়েট করতে কেবল আলুই খেতে হবে, আলুর তৈরি ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’ বা বাটার দেওয়া আলু নয়।
ওজন কমানোর জন্য শুধু আলু কি কার্যকর? একটানা দুতিন দিন আলু খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। এই বিষয়ে ‘হার্ভার্ড হেলথ বলিকেশন’য়ে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে আলু-ভাজা বা বেইক যেভাবেই খাওয়া হোক না কেনো তা রক্তে শর্করা বাড়ায়।
কেবল আলু খেয়ে স্বাস্থ্যকর ডায়েটে খুব বেশি প্রভাব রাখে না। শুধু আলুর উপর নির্ভর করে ডায়েট তৈরি করা বোকামি হবে। কারণ আলু দেহের সার্বিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে না। কেবল ওজন কমানোর জন্য যদি আলুর ডায়েট মেনে চলেন তবে ক্যালরির স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া, এই খাদ্যাভ্যাস থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসলে আবার ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।