চাটমোহরের পল্লীতে ফসলী জমিতে অবাধে পুকুর খনন!
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাটমোহর : পাবনার চাটমোহরে সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে ফসলী জমিতে অবাধে চলছে পুকুর খনন। না পরিবেশ উন্নয়নের জন্য নয়,সেচের জন্যও নয়। উপজেলা জুড়ে এসব পুকুর খনন করা হচ্ছে মাছ চাষের জন্য। কৃষিজমিতে এসব পুকুর খননের কারণে ফসলী জমি সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নষ্ট হচ্ছে। নতুন খননকৃত ঐসব পুকুরের মাটি নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে ইটভাটায়। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখনো থেমে নেই পুকুর খনন ও ইটভাটা নির্মাণ।
স্থানীয় প্রশাসনকে নানাভাবে ‘ম্যানেজ’ করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। ফলে নষ্ট হচ্ছে ঊর্বর ফসলি জমি। পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও ইটভাটা বন্ধে পদক্ষেপ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কামালপুর মাঠে দিন-রাত চলছে পুকুর খনন। জনৈক ইরাজ উদ্দিনের সার্বিক তত্বাবধানে ফসলী জমিতে অবাধে পুকুর খনন করা হচ্ছে। পুকুর খননের কারণে কৃষিজমি প্রতিনিয়ত কমছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন কামালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল ফসলী জমিতে এক্সসেভেটর (ভেগু) লাগিয়ে অবধে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান,স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নাকি এই পুকুর খনন করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কয়েক বছর ধরেই এলাকায় ঊর্বর ফসলি জমিতে পুকুর-দিঘি খননের হিড়িক চলছে। প্রতি বছরই ছোট-বড় নতুন পুকুর খনন হচ্ছে। এসব পুকুরের কারণে জমিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
এ ছাড়া ইটভাটায় খেয়ে ফেলছে আরো কৃষিজমি। যেটুকু কৃষিজমি আছে ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও জলাবদ্ধতায় ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। তিন ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এসব ইটভাটা। ইটভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে নতুনভাবে খননকৃত পুকুরের মাটি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম বললেন,ফসলী জমিতে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদি কেউ এ কাজে জড়িত থাকে,তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।