চাটমোহরে জেলা পরিষদের লক্ষাধিক টাকার গাছ লোপাট !
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : চাটমোহরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো চত্বর থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছের গুঁড়ি ও কাঠ লোপাট করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকবাংলোর কেয়ারটেকারের সহায়তাই এই গাছের গুঁড়ি ও কাঠ লোপাট করেছেন সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগের চাটমোহর উপজেলা সভাপতি মো.আলতাব হোসেন।
অভিযোগে জানা গেছে,পাবনা জেলা পরিষদ চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার রাস্তার উভয় পাশের বিভিন্ন প্রজাতির উপড়ে পড়া,হেলে থাকা,মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ ১১টি গাছ বিক্রির জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এরমধ্যে চাটমোহর-অষ্টমনিষা সড়কের জাবরকোল সাইফুলের বাড়ি সংলগ্ন ২টি শিশু গাছ,চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কের রামনগর শামসুলের বাড়ি সংলগ্ন ১টি শিশু গাছ ও একই সড়কের আবুল সরকারের বাড়ি সংলগ্ন ১টি বাবলা গাছ এবং টেবুনিয়া-ফরিদপুর রাস্তার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মল্লিকচক রাস্তার ৭টি বাবলা গাছ রয়েছে।
সর্বোচ্চ দরদাতা (৩৬ হাজার ৫শ’ টাকা) হিসেবে চাটমোহরের মৃত আকবর আলী মোল্লার ছেলে মোঃ আলতাব হোসেন গাছগুলো কিনে নেন। এই ১১টি গাছ এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ করার জন্য জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম গত ২২/১১/১৮ ইং তারিখে কার্যাদেশ দেন।
এরপরই আলতাব হোসেন অন্যান্য গাছের পাশাপাশি চাটমোহর ডাকবাংলোতে সংরক্ষিত লক্ষাধিক টাকার বটগাছ,মেহগণি ও বাবলা গাছের গুঁড়ি ও কাঠ নিয়ে যান। ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার আশরাফুল ইসলাম তাকে সহায়তা করেন।
এ ব্যাপারে আশরাফুল ইসলাম জানান,অফিস থেকে আমাকে কাঠ ও গুঁড়ি দিয়ে দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দিলে আমি দিয়ে দিয়েছি। এখানে বটগাছ ও মেহগণি গাছের অনেক কাঠ ছিলো। জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান,কার্যাদেশের বাইরে অনেক গাছ ও কাঠ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোন ক্ষমতাবলে এটা করেছে,তা আমি জানিনা। এর একটা ব্যবস্থা হওয়া দরকার। আরেক সদস্য সাইদুল ইসলাম পলাশ বলেন,মিটিংয়ে নিলাম বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর কিছু আমার জানা নেই।
এলাকাবাসী জেলা পরিষদের লক্ষাধিক টাকার কাঠ লোপাটকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।