চাটমোহরে প্রেমিকে না পেয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক : নবম শ্রেণীর ছাত্রী ঝর্ণা খাতুন (১৬) সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিয়ের দিনধার্য হয়েছিল, আত্মীয়-স্বজনরা বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে আসতে শুরু করেছে। রাত পোহাই বিয়ে, যৌতুক হিসেবে কন্যা পক্ষ ৪০ হাজার টাকা বর পক্ষকে পরিশোধ করেছেন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা সব কিছু ভেঙে তছনস হয়ে যায়।
বিয়ের আগের রবিবার রাতে সবার অগচরে কিশোরী ঝর্ণা বিষপান করে আত্মহত্যা করে। ঘটনাটি পরিবারে জানাজানি হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। গুঞ্জন রয়েছে প্রেমিকে বিয়ে না করতে পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।
এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইছড়া ইউনিয়নের সমাজ মিয়াপাড়া গ্রামে। সে ঐ গ্রামের উকিল উদ্দিনের মেয়ে ও সমাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা গেছে, সোমবার ছিল বিয়ের দিন, কিন্তু নিজের সম্মতি বিয়ে না দেওয়ায় তরুনী রাতে বিষপান করেছেন। পাশের হান্ডিয়াল গ্রামের বাবু হোসেনের ছেলে মিঠুর সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। থানা পুলিশ বিষয়টি জানার পর লাশ উদ্ধার করেছে। তবে পুলিশ বলছেন বিষপান করলে মৃত শরীরে গন্ধ থাকবে। হয়তবা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে প্রতিবেশিরা বলছেন, বাড়ির পাশে এক যুবকের সাথে মেয়েটির প্রেম ছিল, বাবা-মা জোরপূর্বক অন্য ছেলে সাথে বিয়ে দেওয়াতে সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এব্যাপারে চাটমোহর হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) এসএম মঈনুদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি মনে হয়েছে প্রেম ঘঠিত। মেয়েটি বিয়ে দিন ধার্য হয়েছিল। বিষাক্ত কোনো কিছু খেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।