চাটমোহরে ব্যাংকে প্রতারণা : এক মাসেও ধরা পড়েনি অপরাধীরা
চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা: পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের একটি সরকারি ব্যাংকের মধ্যে জহুরা বেগম (৪০) নামে এক গ্রাহকের নিকট থেকে দুই প্রতারক ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একমাস অতিবাহিত হলেও অধরাই রয়ে গেছেন অপরাধীরা। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ থাকার পরও কেন ধরা পড়ছে না প্রতারকরা এ নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভূক্তভোগী ঐ মহিলা। তবে পুলিশ বলছে আসামী ধরতে তৎপর আছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মাস (০৭ অক্টোবর) রবিবার বেলা ১১ টায় চাটমোহর পৌর সদরের অগ্রণী ব্যাংকের মধ্যে।
ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে দেড় বছর আগে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে তিন লক্ষ টাকা ঋণ করে ভূক্তভোগী জহুরা বেগম সন্তান জাকারিয়া ইসলাম কে বিদেশ পাঠান। সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে এবং সংসারের অন্যান্য ব্যয় বাবদ প্রতি মাসে পরিবারের কাছে টাকা পাঠায় ছেলে। ছেলের পাঠানো সেই টাকা চাটমোহর অগ্রণী ব্যাংকে উঠাতে গিয়ে দুই প্রতারকের খপ্পরে পরে ৪০ হাজার টাকা খুইয়ে ফেলেন তিনি।
এ ঘটনার পরে প্রতারণার শিকার ঐ প্রবাসীর মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং চাটমোহর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে এ ঘটনার জন্য ঐ মহিলার সরলতাকেই দায়ী করেন। প্রতারণার শিকার জহুরা বেগম পৌর সদরের অফ্রাতপাড়া মহল্লার দিন মুজুর আমজাদ হোসেনের স্ত্রী।
ঘটনার ব্যাপারে প্রতারনার শিকার জহুরা বেগম জানান, টাকাগুলো হারিয়ে ভীষন কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করেছি। টাকা হারানোর একমাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ একটি বারও আমার কাছে এসে কিছু বলেনি, খোজও নেয়নি। আমিই নিজের থেকে থানায় ফোন করে খবর জানতে চাইলে তারা বরাবরই বলে আসছে আসামী ধরতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি টাকাগুলো পেলাম না দু:খ নেই, প্রতারকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই আমি।
ঘটনার বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, থানায় আমি নতুন এসেছি, তবুও বিষয়টি নিয়ে আমি যতদুর জানি ঐ দুই প্রতারক কে ধরতে পুলিশ তৎপর আছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ছবি নিয়ে উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানের ব্যক্তিদের ছবি দেখিয়ে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। কেউই এখন পর্যন্ত তাদের চিনতে পারছে না। এরা সম্ভবত বাইরের এলাকা থেকে এসে প্রতারনা করে পালিয়েছে। তবে তাদেরকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যহত রাখবে। সেই সাথে কেউ এদের সন্ধান দিতে পারলে পুলিশের পক্ষে আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা সহজ হবে।