চাটমোহরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার রহস্যজনক মৃত্যু : স্বামী পলাতক
চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা : পাবনার চাটমোহরে আমেনা খাতুন (২৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পৌর শহরের কাজীপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি পৌর শহরের আয়েশা সিদ্দিকা বালিকা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষিকা ও উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। মোহাম্মদ আলীও পৌর শহরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার হাজী আক্কাস আলী মাস্টার হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে পুলিশ আসার খবর পেয়ে কৌশলে এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন স্বামী মোহাম্মদ আলী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মোহাম্মদ আলী ও আমেনা বেগম শিক্ষকুার পাশাপাশি স্ব-স্ব মাদ্রাসায় বসবাস করতেন। তবে তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।
বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলী স্ত্রীর কাছ থেকে ৪ বছর বয়সী মেয়ে মরিয়মকে নিয়ে চলে যান। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ওই সময় ঝগড়া হয়। পরে রাতে মাদ্রাসার শিক্ষিকাগণ আমেনা বেগমকে খুঁজে না পেয়ে মাদ্রাসার পাশের একটি আমগাছে গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার স্বামীকে খবর দেন। পরে রাতেই মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলে এসে স্ত্রীর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান এবং বৃহস্পতিবার সকালে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান মোহাম্মদ আলী। তবে স্থানীয়দের দাবি,পুলিশকে না জানিয়ে মরদেহ তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা প্রমাণ করে মোহাম্মদ আলী তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
চাটমোহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ‘মৃতদেহের গলায় কালো দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের পর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’