টমেটোর পুষ্টিগুণ
স্বাস্থ্য : টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছর পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে টমেটো খাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার সালাদে টমেটো খেয়ে থাকেন। শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, টমেটো থেকে তৈরি হয় নানা রকমের কেচাপ, সস। শরীরের নানাবিধ উপকার করার পাশাপাশি সৌন্দর্য চর্চাতেও ব্যবহার হয়।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের ফারাহ মাসুদা বলেন, ‘টমেটোকে মৌসুমি ফল বা সবজি যে যাই বলুক না কেন এর গুণাগুণ নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না।
রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘টমেটো পেকে লাল হওয়ার সঙ্গে এর পুষ্টিগুণ আরো বৃদ্ধি পায়।’ এই টাটকা ফলের প্রধান অংশ পানি। এর প্রায় ৮০ থেকে ৯৫ শতাংশ পানি। ফলে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট তুলনামূলক কম থাকে। দ্রবণীয় শর্করা ও প্রোটিন বাদে ফলের পুষ্টিমান মূলত খনিজ ও ভিটামিন।
এইসবের জন্য ফলকে দেহ রক্ষাকারী খাদ্য বলা হয়। ফসফরাস দেহের কোষকলার সুস্থতা রক্ষা করে। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে ২০ মি.গ্রা ফসফরাস পাওয়া যায়। পাকা-টমেটো রান্নার পরে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়।
দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বর্তমানে ব্যবসায়ীরা নানারকমের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে থাকেন। এতে টমেটোর পুষ্টিগুণ অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায় এবং এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই অতিরিক্ত উজ্জ্বল টকটকে লাল রংয়ের টমেটো না কেনার পরামর্শ দেন ফারাহ মাসুদা।