টুনা মাছের ওজন ২৭৮ কেজি, দাম ৩১ লাখ ডলার
আর্ন্তজাতিক: বছর শুরুর প্রথম নিলামে টোকিওর নতুন মাছবাজার থেকে ২৭৮ কেজি ওজনের একটি ব্লুফিন টুনা ৩১ লাখ ডলারে কিনে হইচই ফেলে দিয়েছেন জাপানের এক ধনকুবের।
বছর শুরুর প্রথম নিলামে টোকিওর নতুন মাছবাজার থেকে ২৭৮ কেজি ওজনের একটি ব্লুফিন টুনা ৩১ লাখ ডলারে কিনে হইচই ফেলে দিয়েছেন জাপানের এক ধনকুবের।
শনিবার তোয়োসুর মাছ বাজার থেকে সুশি কোম্পানির মালিক কিয়োশি কিমুরা ওই বিপন্নপ্রজাতির মাছটি কেনেন।
স্বঘোষিত এ ‘টুনা কিং’ কিয়োশি আট বছরে সপ্তমবার বর্ষশুরুর নিলামের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
২০১৩ সালেও এমন একটি মাছ কিনতে তিনি ১৪ লাখ ডলার ব্যয় করেছিলেন।
সাধারণ সময়ে ২৭৮ কেজির এই টুনা কিনতে ৬০ হাজার ডলারের বেশি দাম পড়ত না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিয়োশি তার তুলনায় প্রায় ৫ গুণ বেশি দাম দিয়ে নিজের রেকর্ডকে আরও উপরে নিয়ে গেলেন।
বিবিসি বলছে, জাপানে বছরের প্রথম নিলামে পাইকারি বিক্রেতা ও সুশি কোম্পানির মালিকদের বেশি দাম দিয়ে সেরা মাছ কেনার দরদামে মেতে উঠতে দেখা যায়।
বাংলাদেশি মুদ্রায় বিপন্নপ্রজাতির ওই টুনাটির দাম পড়েছে প্রায় ২৬ কোটি টাকা।
“আমি একটি চমৎকার টুনা কিনেছি। দাম সাধারণের তুলনায় বেশি হয়েছে, তারপরও আমার আশা ক্রেতারা এই অসাধারণ টুনাটি উপভোগ করবে,” বলেছেন এ সুশি ব্যবসায়ী।
তোয়োসুতে এবারই প্রথম বর্ষশুরুর মাছের নিলাম অনুষ্ঠিত হল। আগেরগুলো হতো সুকিজিতে; ১৯৩৫ সালে চালু হওয়া বাজারটি পর্যটকদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় ছিল।
দুর্বল অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে গত বছরের অক্টোবরে মাছ বাজারটি সরিয়ে তোয়োসুতে নিয়ে আসা হয়।
জাপানে টুনা খুব জনপ্রিয় হলেও প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এর আটলান্টিক ব্লুফিনকে বিপন্ন এবং প্যাসিফিক ব্লুফিনকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রেখেছে।
সংরক্ষণবাদীদের এসব সতর্কতায় অবশ্য খুব একটা কান দিচ্ছে না জাপানি কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে এক বিবৃতিতে তারা জুলাই থেকে বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার শুরুরও ঘোষণা দিয়েছে।