ধনী-গরিব বৈষম্য ঘোচানোর আহ্বান পোপের
ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ধনী-গরিবের মধ্যকার ‘বিশাল ব্যবধানের’ সমালোচনা করেছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। যিশু খ্রিস্টের জন্মও দরিদ্র পরিবারে হয়েছিল স্মরণ করিয়ে দিয়ে এর মধ্য থেকে সবাইকে জীবনের অর্থ খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
উন্নত দেশের মানুষদের অনুরোধ জানিয়েছেন সাদাসিধে ও কম বস্তুগত জীবন-যাপনের। বড়দিন উৎসবের একদিন আগে গত সোমবার ঐতিহ্যবাহী ‘ক্রিসমাস ইভ’ সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন পোপ। যিশুর জন্মের আগের দিন (২৪ ডিসেম্বর) ক্রিসমাস ইভ পালন হয় বিশ্বজুড়ে।
খ্রিস্ট ধর্ম মতে,যিশুর জন্ম হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে। ক্রিসমাস ইভে মধ্যরাতে যিশুর জন্মের সময়ের আগমুহূর্তে মানুষেরা গির্জায় জড়ো হন। এ সময়ের আগেই উপহার আদান-প্রদান করা হয়। রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে এ নিয়ে ষষ্ঠ বড়দিন উৎসব পার করছেন ৮২ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস।
গত সোমবার ভ্যাটিকানে সেন্ট পিটার্স বাসিলিসা গির্জায় এক ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নেন তিনি। সেখানে দেওয়া বক্তৃতায় পোপ বলেন, ‘আমরা নিজেদেরকে প্রশ্ন করি: জীবনের জন্য এতোসব জিনিসপত্র এবং জটিল প্রণালি কি সত্যিই দরকার? এসব অপ্রযোজনীয় জিনিসগুলো বাদ দিয়ে কি আমি চলতে পারি না? খুব সাদাসিধে জীবন-যাপন করতে পারি না?’
বিশ্বের মানুষের প্রতি লোভ না করারও আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষের কাছে জীবনের মানে হলো অধিকার করা, অনেক জিনিস নিজের কাছে রেখে দেওয়া। গোটা মানব ইতিহাসেই অতৃপ্ত লোভের ছায়া আছে। কতিপয়ের প্রাচুর্যের বিপরীতে দেখা যায় অনেক মানুষ বেঁচে থাকার ন্যুনতম খাবারটুকুও পাচ্ছে না।’
মঙ্গলবার বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবারের মতো সেন্ট পিটারের ব্যালকনি থেকে ভাষণ দেবেন পোপ। ফ্রান্সিস পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই বিশ্বের দরিদ্রদের অসহায়ত্ব নিয়ে কথা বলে আসছেন।
২০১৬ সালে বড়দিনের ভাষণে তিনি সতর্ক করেছিলেন, বস্তুবাদের আধিক্যে বড়দিনের সত্যিকারের মাহাত্ম্য হারিয়ে যাচ্ছে।