নাব্যতা সংকট, যমুনা নদীতে আটকে পড়েছে ২০টি পণ্যবাহী জাহাজ
রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ : নাব্যতা সঙ্কটের কারনে যমুনা নদীতে আটকে পড়েছে প্রায় ২০টি পণ্যবাহী জাহাজ। একারনে মালামাল নিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ঘাটে ভিড়তে পারছে না জাহাজ গুলো। মাঝ নদীতে আটকে পড়া জাহাজ থেকে লাইটারেজ করে রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন পণ্য বন্দরে আনা হচ্ছে। তবে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবী জাহাজে অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে আসার কারনে মাঝ নদীতে আটকে পড়েছে জাহাজ গুলো।
যমুনা নদীর নাকালিয়া, ঢালারচর ও লতিফপুর পয়েন্টে আটকা পড়েছে প্রায় ২০টি পণ্যবাহী জাহাজ। কার্গো জাহাজগুলো রাসায়নিক সার, কয়লা, গম ও চাল নিয়ে বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে যাচ্ছিল।
নৌযান লেবার এসোসিয়েশন বাঘাবাড়ী ঘাট শাখার যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব মাষ্টার জানান, বাঘাবাড়ী নৌ বন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল, রাসায়নিক সারসহ অন্যান্য মালামাল সরবরাহ করা হয়। এ নৌপথে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার, রাসায়নিক সার ও বিভিন্ন পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ চলাচল করে।
বাঘাবাড়ী বন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলে চাহিদার ৯০ ভাগ জ্বালানি তেল ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করা হয়। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে বাঘাবাড়ী বন্দরের মাধ্যমে চাল ও গমসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। এ নৌপথের ৬টি পয়েন্টে নাব্যতা সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। একারনে জাহাজ গুলো সরাসরি বাঘাবাড়ি বন্দরে ভিরতে পারছে না।
জ্বালানী তেল, রাসায়নিক সার, কয়লা, গম ও চাল নিয়ে চট্রগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও মংলা বন্দর থেকে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি আফিফা, এমভি জুয়েল, ওটি আছিয়া বেগম, এমভি সুমাইয়া হোসেন, এমভি ফয়সাল, এমভি ফয়সাল, এমভি ফয়সাল-৮, আছিয়া পরিবহন, ভাই ভাই, এমভি ফেয়ারি, এমভি ইব্রাহীম খলিল, জুয়েল, আল তায়েফ, এমভি ওয়ারিশ আহনাফ, সততা পরিবহন, মাজননী, বিসমিল¬াহসহ প্রায় ২০টি ছোট-বড় জাহাজ যমুনা নদীর মাঝ পথে আটকা পড়েছে।
বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরের সহকারী পরিচালক এস.এম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বাঘাবাড়ি নদী বন্দর ২য় শ্রেণীর। বর্তমানে এই নৌরুটে নাব্যতা নেই। চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও মংলা বন্দর থেকে জাহাজ গুলো বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরে পৌছতে ৭ ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে এই চ্যানেলে পানির গভীরতা রয়েছে ৮ ফিট। জাহাজ গুলোতে অতিরিক্ত (ওভার লোডিং) মালামাল নিয়ে আসার কারনে সরাসরি বাঘাবাড়ি ঘাটে পৌছতে পারছে না। যমুনার মাঝ নদীতে আটকা পড়ে থাকছে। আটকে পড়া জাহাজ থেকে লাইটারেজ করে রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন পণ্য বন্দরে আনা হচ্ছে। এরজন্য দায়ী জাহাজের চালকরা। বাঘাবাড়ি বন্দরে জাহাজ গুলো যেন ভিড়তে পারে এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আছে আমাদের।