নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারে পুলিশের এসআই নাছির
পিপ (পাবনা) : নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার এসআই নাছির আহম্মেদ (৩৩) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতৈর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওলিউল ইসলাম সোমবার তাকে জেল হাজতে পাঠান।
মামলা সুত্রে জানা যায়, পাবনা শহরের কাচারীপাড়া মহল্লার মোস্তাক আহম্মেদের ছেলে পুলিশের এস আই নাছির আহমেদের সঙ্গে সদর উপজেলার আশুতোষপুর ,বলরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে রুবিনা আক্তার রুনার সঙ্গে ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের জন্য বিভিন্ন ভাবে রুনাকে চাপ দিত। এমনকি কয়েকবার শারীরিক ভাবে মারপিট করে। সকল নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর ঘর করতে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ২২ মার্চ নাছির আহম্মেদের পূর্বের কর্মস্থল রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানাধীন মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হতে স্ত্রী রুনা কে সকাল ৯ টার দিকে পাবনা কাচারীপাড়াস্থ নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে।
একই দিন সকাল ১০ টায় তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী নাছির আহম্মেদ বাবা-মা এবং বোনকে নিয়ে যৌথভাবে রুনাকে বেদম মারপিট করে। খবর পেয়ে রুনার বাবা সাইফুল ইসলাম তাকে বাড়ী আসেন।
এ সময় রুনার ন্বামী নাছির শশুড়বাড়ী এসে রুনার বাবার সামনেই রুনাকে পুনরায় মারপিট করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় মেয়েকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংশার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে এ ঘটনায় জেলা পাবনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পাবনায় রুনার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে নাছির আহম্মেদ সহ তার বাবা-মা এবং বোনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮৯/২০১৯। মামলায় নাছির আহম্মেদ গং এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুকরা হয়।
সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত নাছির আহম্মেদ আদালতে আত্নসমর্পন বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।