নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা : আগামী মাসেই সাজা ঘোষণা সেই ব্রেন্টন ট্যারেন্টের
বিদেশ : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অন্তত ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যার ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টের সাজা আগামী মাসে ঘোষণা করা হতে পারে। এজন্য সম্ভাব্য তিনটি তারিখও নির্ধারণ করেছে নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হত্যা মামলায় হামলাকারীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত।
ট্যারেন্টের মামলার রায় আগেই ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু চলমান করোনাভাইরাস সংকটের কারণে দেরি হচ্ছে বলে নিউজিল্যান্ড সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। গত বছরের নৃশংস ওই বন্দুক হামলায় অন্তত তিনজন বাংলাদেশিও নিহত হয়েছিলেন। যেই আল নূর মসজিদে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে ফেরেন নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। ভয়াবহ এই হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন চরমপন্থী ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান যুবক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।
তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমসহ অনেকগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব মামলা কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েও যায়। কিন্তু কোভিড-১৯ সংকটের কারণে ট্যারেন্টকে শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা থেমে যায়। তবে এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধিও উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাই ফের চালু হচ্ছে ট্যারেন্টের মামলার রায় কার্যক্রমও। নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের জানিয়েছেন, ট্যারেন্টের সাজা ঘোষণার শুনানি ২৪ আগস্ট শুরু হচ্ছে।
সাজা ঘোষণার জন্য এরইমধ্যে তিনটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে আরও বেশি সময় ধরে এর শুনানি চলতে পারে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ম্যান্ডের বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে এখন কভিড-১৯ সংক্রমণ না থাকায় আমাদের আদালতও স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে। জনসাধারণ, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত এই ঘটনার ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার আদালতের অধিবেশনে উপস্থিত হতে পারবেন।’ প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডে কোনো অপরাধের জন্য মৃত্যুদ-ের বিধান নেই। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যারেন্টকে তার বাকি জীবন কারাবাসেই কাটাতে হতে পারে।