নির্বাচন থেকে সরে গেলেন নিজামীপুত্র নাজিব মোমেন
ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েও শেষ মুহূর্তে অনাগ্রহ দেখিয়ে সরে গেলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিব মোমেন। বাবার নির্বাচনী এলাকা পাবনা-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল তার। এ অবস্থায় ওই আসনে মোমেনের পরিবর্তে অন্য প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
সূত্র মতে, এবারের নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধে দণ্ড পাওয়া শীর্ষনেতাদের নির্বাচনী এলাকায় তাদের যোগ্য স্বজনদের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় জামায়াত। এক্ষেত্রে শুরু থেকেই নিজামী ও সাঈদীর ছেলেদের নাম শোনা যাচ্ছিল জোরেসোরে। শেষমেশ নিজামীপুত্র না থাকলেও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলেই আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।
নিবন্ধন হারানো স্বাধীনতাবিরোধী দলটির প্রার্থীদের জোটগত সমঝোতায় বা স্বতন্ত্রী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে হবে। ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপির ধানের শীষ বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত প্রতীক নিয়ে ভোটে দাঁড়ানোরও সিদ্ধান্ত রয়েছে জামায়াতের।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধে দণ্ড পাওয়া অন্য শীর্ষনেতাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে জামায়াতের স্থানীয় নেতারা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
নিজামীপুত্র নাজিব মোমেন প্রার্থী হচ্ছেন না জানিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গতকাল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নাজিব মোমেনকে দল থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রথমে এ বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও তিনি ও তার পরিবার পরে অনাগ্রহ প্রকাশ করায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে।’
পাবনা জেলা জামায়াতের আমির জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগে নাজিব মোমেনকে প্রার্থী করা হবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে তা পরিবর্তন করা হয়েছে। নিজামীর আসনে বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. আব্দুল বাছেদ খান প্রার্থী হচ্ছেন- কেন্দ্র থেকে নতুন এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। অতি সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
মোমেন কেন নির্বাচনে আসছেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা সঠিক বলতে পারবনা। তার (মোমেন) সঙ্গে আমাদের কথা হয় না। তার ফোন নম্বরও আমার কাছে নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলতে পারবেন, নির্বাচনে তার আগ্রহের কমতি আছে কিনা’।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৬ সালের ১১ মে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয় নিজামীকে। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে পাবনা-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১-০৩ মেয়াদে কৃষি ও ২০০৩-০৬ মেয়াদে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।