পঙ্গপালের হানায় বিপর্যস্ত ভারত-পাকিস্তান
বিদেশ : ফসলখেকো পঙ্গপালের হানায় বিপর্যস্ত ভারত ও পাকিস্তান। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের পর দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দুটিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে পতঙ্গের আক্রমণ। ঝুঁকিতে পড়েছে শত শত কোটি ডলারের ফসল। কীটনাশক ছিটিয়ে ও ঢাক ঢোল পিটিয়ে করা হচ্ছে প্রতিরোধের চেষ্টা। কোটি কোটি পতঙ্গের ঝাঁক মুহূর্তেই খেয়ে ফেলছে সবুজ ঘাস, ফসল, সবজি ও গাছ। ভেঙে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থা। ফসল রক্ষা করতে না পারায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকটের শঙ্কা।
লে. জেনারেল মোহাম্মদ আফজাল বলেন, পঙ্গপালের হানা থেকে ফসল রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। ৫ হাজার সেনা সদস্য কাজ করছেন। সেনাবাহিনীর ৫টি হেলিকপ্টারসহ ৯টি উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হচ্ছে। আরো ৬টি যুক্ত করার প্রক্রিয়া রয়েছে। কীটনাশক ছিটানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ১৫টি গাড়ি। ফসল রক্ষায় কৃষকরা আওয়াজ সৃষ্টি করছেন ও কীটনাশক ছিটাচ্ছেন।
আক্রান্ত অঞ্চলে বসতবাড়ি দেয়ালও ছেয়ে গেছে পঙ্গপালে। পাকিস্তানের অন্তত ৫০টি জেলায় এবং ভারতের ৫টি রাজ্যে হানা দিয়েছে পতঙ্গরা। ভারতে রাজস্থান, পাঞ্জাব, গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশসহ ভারত সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে তারা। একজন বলেন, পঙ্গপালের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে আমরা নানাভাবে চেষ্টা করছি।
ড্রাম বাজিয়ে, কীটনাশক ছিটিয়ে নির্মুলের চেষ্টা করছি। সবজির বাগানগুলো ঢেকে রাখছি। ফসল রক্ষা করতে না পারলে আমার না খেয়ে থাকা লাগবে। এরই মধ্যে ভারতে অন্তত ৩৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ধংস হয়েছে। পাকিস্তানে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
ঝুঁকিমুক্ত নয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতেও। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়াসহ পৃথিবীর ৭০টিরও বেশি দেশে এরইমধ্যে হানা দিয়েছে পঙ্গপাল। এ বছরের শেষ নাগাদ পৃথিবীর অন্তত ১০ শতাংশ মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।