পাবনার নগরবাড়িতে নির্মাণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর
নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে, পাবনার নগরবাড়িতে। ৫১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর। জমি অধিগ্রহণসহ প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে নতুন করে গতি আসবে পাবনার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে।
জানা গেছে, পাবনার এই নগরবাড়ি নৌবন্দর এক সময়ে ঢাকা থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াতের একমাত্র প্রবেশদ্বার ছিলো। ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধুসেতু চালুর পর নিস্তব্ধতা নেমে আসে ব্যস্ততম এ ঘাটে।
তবে আশার কথা, দুই দশক পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে নগরবাড়িতে। নির্মাণ করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানের নদী বন্দর। গত বছরের ১৯ মে একনেক সভায় নৌবন্দর নির্মাণে প্রায় ৫১৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এরইমধ্যে শ্রমিকদের পদচারণায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে নগরবাড়ি নৌবন্দরে। জাহাজের পণ্য উঠানামার কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। খেটে খাওয়া মানুষদের প্রত্যাশা, ভাগ্য ফিরবে স্থানীয়দের।
স্থানীয় শ্রমিকরা বলছেন, দীর্ঘদিন অনেকেই বেকার হয়ে পরায়। নৌ বন্ধর চালুর কার্যক্রম শুরু হওয়ার ফলে তারা বেশ খুশি।
জাহাজ চালকরা বলছেন, জাহাজ চলাচলের জন্য বন্দর নির্মাণের সাথে নদী ড্রেজিং করাও জরুরি হয়ে পড়েছে। নদী ড্রেজিং করা হলে তাদের চলাচলে আর কোন সমস্যা হবে না বলে জানান তারা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক এস এম ফজলুল হক বলেন, এই নগরবাড়ির শ্রমিকরা এক সময় বেকার ছিলো। আন্তর্জাতিক মানের নদী বন্দর হচ্ছে এতে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রাণচঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
পাবনা চেম্বার অব কমার্স সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, নগরবাড়িতে নদী বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে যাবে সম্ভাবনার দুয়ার। আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে। তাদের মামলামাল আনা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে এবং অনেকটা খরচও কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
পাবনার জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক কাজগুলো শুরু হয়েছে। জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে। নৌবন্দর নির্মাণের পর নগরবাড়িসহ পাবনার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে।