পাবনার সেই ৩৭ কৃষকের ঋণ সংক্রান্ত বিযয়ে তদন্ত শুরু
পাবনা প্রতিনিধি : ঋন খেলাপির দায়ে মামলায় অভিযুক্ত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারীগ্রামের সেই ৩৭ কৃষকের ঋন সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের তিনসদস্যের তদন্ত কমিটি মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।আজরবিবার সকালে ব্যাংকের ডিজিএম আহসানুলগনির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভাড়ইমারী গ্রামে পৌছান। সেখানে তারা ভুক্তভোগীকৃষকদের সাথে কথা বলেন।কৃষকও স্থানীয় জপ্রতিনিধিরা জানান, ভুক্তভোগী কৃযকদেরকে কোন নোটিশ না দিয়ে সম্পূর্নহয়রানিমূলকভাবে ৩৭ জন কৃষকের নামে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় ১২ জন কৃষককে গ্রেপ্তারকরে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তের সময় কৃষকদের কাছেপাঠানো কোন নোটিশের কপিও দেখাতে পারেননি। তারা অবিলম্বে হয়রানিমূলকভাবে দায়েরকরা ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।এবিষয়ে সমবায় ব্যাংকের ডিজিএম আহসানুল গনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।উল্লেখ্য,২০১৬ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ভাড়ইমারী গ্রামের ৩৭ জন ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারটাকা করে ১৬ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ না করায় ২০২১ সালে ৩৭ জনকৃষকের নামে মামলা করে ব্যাংকটি। সম্প্রতি আদালত তাদের বিরুদ্ধে গে॥প্তারি পরোয়ানা জারিকরলে গত ২৫ নভেম্বর ১২ জন কৃষককে গে॥প্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।বিষয়টিগণমাধ্যমে আসার পর ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে গত ২৭ নভেম্বর পাবনারসিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার ১২কৃষকসহ ৩৭ জন কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেন।পরে২৯ নভেম্বর ৩৭ কৃষক তাদের সুদসহ ঋণের বাকি টাকা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।ঈশ্বরদী উপজেলার ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য কৃষকদেরপক্ষে বিলকিস নাহার এ সংক্রান্ত আবেদন করেন।