পাবনায় কৃষকের ধান কেটে দিলেন অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : একদিকে ধানের মূল্য কম অন্যদিক শ্রমিক সংকট সারাদেশর মত পাবনার কৃষকরাও জমির পাকা ধান কাটতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক কষ্টে শ্রমিক মিললেও দিতে হচ্ছে চড়া মজুরী। কৃষকের শ্রমিক সমস্যার জন্য পাবনা জেলা ছাত্রলীগ উপজেলা সদরের বাহাদুরপুর গ্রামে কৃষকের তিনজন কৃষকের তিনবিঘা জমির ধান কটে দিয়েছে তারা।
পবানা জেলা ছাত্রলীগের ষাট সদস্যের একটি দল সকালে দলবদ্ধ ভাবে কৃষকের সহযোগির জন্য তারা এই কাজ করেন। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে সমাজের সবচাইতে সম্মানের কিন্তু সবচেয়ে কষ্টোকরা কৃষকের প্রতি ভালোবাসার আর সম্মাননের জন্য তারা বিনামূল্যে এই ধান কাটার কাজ করেন দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক ফিরাজ আলী, সদস্য নাজিউর রহমান, সদর উপজলা ছাত্রলীগর সভাপতি ইমরান শেখ ও পাবনা পলিটকনিক ইনিষ্টিটিউট ছাত্রলীগর সভাপতি ছানাউল্লাহ প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, বৃহঃবার সকাল ৯ টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে শহর তলীর গাছ পাড়া এলাকার বাহাদুর এলাকার ওই গ্রামে যান। এরপর তাঁরা বিপদ গ্রস্থ কৃষক শুকচাঁদ মিয়া, আব্দুল খালেক ও হাসান মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। এরপরে তাঁদের অনুমতি নিয়ে ধান কাটতে শুরু করেন তরুন ছাত্রলীগ কর্মীরা। বিকল ৩ টা পর্যন্ত তারা তিন কৃষকের তিনবিঘা জমির ধান কেটে তার উঠনে পৌঁছে দেন।
তিন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুলত শ্রমিক সংকটের কারনেই তাঁরা ধান কাটতে পারছিলো না। অনেক কষ্টে শ্রমিক পাওয়া গলেও মজুরি অনেক বেশি। ৫০০ টাকা দিন হাজিরার প্রতিজন শ্রমিক নিতে হচ্ছে ৬৫০ থেক ৭০০ টাকায়। আর বাজারে ধানের দাম আর ধান কাটার চাইতে কম মূল্য। ধানের দাম কম হওয়ার কারনে ধান কাটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এ কারনেই তারা ধান কাটছিলো না। অনেকে ধানের ক্ষেতে গুরু দিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। কিছুই করার নাই। কষ্টো করে ফসল ফলিয়ে যদি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় তবে ধান চাষ বন্ধো করে দিতে হবে। অন্য ফসলে এর চাইতে বেশি লাভ পাওয়া যায়।
কৃষক হাসান মিয়া বলেন, ধানের দাম কম শ্রমিকের দাম বেশি কি কারনে ধান কাটবো। তাই মাঠের ধান মাঠেই ছিলো। আজ ছাত্রলীগের ছেলেরা ধান কেটে দিয়েছে। খুব ভালো লেগেছে এই যুবকদের কাজ দেখে। আর এই কারনে ধানগুলা ঘরে উঠলো। ছাতলীগের মত সকল যুব সমাজ যদি এগিয়ে আসতো তবে শ্রমিক সংকট থাকতো না।
এ প্রসঙ্গ জলা ছাত্রলীগর সভাপতি শিবলী সাদিক বলেন, শ্রমিক সংকট ও অতিরিক্ত মজুরির কারণেই কৃষক সমস্যায় পড়েছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ছাত্রলীগের চারটি ইউনিটক চারভাগে ভাগ হয়ে এই কাজ করা হয়েছে। কষ্টো একটু হয়েছে তবে আনান্দো কম হয়নি। ভালোকাজের মজাই আলাদা। কৃষক বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।