পাবনায় প্রতীক পেয়ে প্রচারণা মাঠে ২৫ প্রার্থী
বিশেষ প্রতিবেদক : উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছে প্রার্থীরা। পাবনা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসন থেকে এবার ২৫ জন প্রার্থী জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার লড়াইয়ে ভোট যুদ্ধের মাঠে নেমেছেন। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয় সরগরম প্রচারণা।
এবার পাবনা-১ ও পাবনা-৫ আসনে নৌকা ও লাঙ্গলের প্রতীকে রয়েছে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
দীর্ঘ দশ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধানের শীষ প্রতীকে দল থেকে চার এবং জামায়াতে ইসলামি এক প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। অন্যদিকে পাবনা-১ আসনে নিজামী পুত্র নাজিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচটি আসনেই নৌকা ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটযুদ্ধ হবে। যদিও মাঠ জরিপে নৌকার প্রার্থীরাই এগিয়ে আছে।
অন্যদিকে পাবনা-১ আসনে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে গণফোরামে যোগ দিয়ে এবার ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এই আসনে নিজামী পুত্র নাজিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বেকায়দায় রয়েছেন ধানের শীর্ষের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু (নৌকা) ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (ধানের শীষ) প্রতীকের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে সাধারণ ভোটাররা বলছেন।
অন্যদিকে পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের আহমেদ ফিরোজ কবির (নৌকা), সেলিম রেজা হাবিব (ধানের শীষ), পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন নৌকা, কেএম আনোয়ারুল ইসলাম (ধানের শীষ) প্রতীকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
এদিকে পাবনা-৪ আসনে চারচার বার নির্বাচিত সাংসদ বর্তমান ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ (নৌকা) ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা হাবিবুর রহমান হাবিব (ধানের শীষ) এর মধ্যে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচন হবে বলছেন সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন।
ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া এই দুই উপজেলা নিয়ে পাবনা-৪ আসন। বর্তমান সরকারের আমলে ঈশ্বরদীতে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও আটঘরিয়া উপজেলা রয়েছে অনেকটাই অবহেলিত। এদিকে ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে অভন্তরিন কোন্দল। আসন্ন নির্বাচনে এই কোন্দল। সেই হিসেবে শামসুর রহমান শরীফকে বেগ পেতে হবে ভোটের মাঠে।
পাবনা-৫ (সদর) আসনে গোলাম ফারুক প্রিন্স (নৌকা), মাওলানা ইকবাল হুসাইন (ধানের শীষ) এর মধ্যেই লড়াই হবে। তবে দুই দুই বারের এম গোলাম ফারুক প্রিন্স। বর্তমান সরকারের ১০ বছরে পাবনা সদর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের করেছেন। সেই কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীই এগিয়ে বলছেন ভোটাররা।
এদিকে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকসহ বিভিন্ন প্রতীকে পাবনার ৫টি আসনে মোট ২৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে পাবনা-১ আসনে ৮ জন প্রার্থী। তারা হলেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু (নৌকা), অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (ধানের শীষ), নিজামী পুত্র নাজিবুর রহমান (আপেল), আব্দুল মতীন (হাতপাখা), শাখাওয়াত হোসেন (আম), শরিফুল ইসলাম (ফুলের মালা), মো: জুলহাস নাইন কোদাল), সরদার শাজাহান (লাঙ্গল)।
পাবনা-২ আসনে ৪ জন প্রার্থী। তারা হলেন, আহমেদ ফিরোজ কবির (নৌকা), সেলিম রেজা হাবিব (ধানের শীষ), ইউনুছ আলী (হাতপাখা), শামসুর রহমান (ফুলের মালা)।
পাবনা-৩ আসনে ৪ জন প্রার্থী। তারা হলেন, মকবুল হোসেন নৌকা, কেএম আনোয়ারুল ইসলাম (ধানের শীষ), আব্দুল মুত্তালিব (হাতপাখা), খায়রুল আলম (কবুতর)।
পাবনা-৪ আসনে ৪ জন প্রার্থী। তারা হলেন, শামসুর রহমান শরীফ (নৌকা), হাবিবুর রহমান হাবিব (ধানের শীষ), মাওলানা আব্দুল জলিল (হাতপাখা), আব্দুর রশিদ শেখ (আম)।
পাবনা-৫ আসনে ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন, গোলাম ফারুক প্রিন্স (নৌকা), মাওলানা ইকবাল হুসাইন (ধানের শীষ), অধ্যাপক মো: আরিফ বিল্লাহ (হাতপাখা), আব্দুল কাদের (লাঙ্গল), আবু দাউদ (আম)।
এদিকে প্রচার-প্রচারণাতে অংশ নেয়া প্রার্থী ও সমর্থকদেরকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তা।