পাবনায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী
পিপ (পাবনা) : পাবনায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তানজিব শেখ নিহত হওয়ায়র ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করা হয়। পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত যুবক তানজিব শেখের পিতা বাবু শেখ জানান, তার ছেলে মেধাবী ছাত্র ছিলো।
এডওয়ার্ড কলেজ থেকে মাষ্টার্স পাশ করে ব্যবসার পাশাপাশি যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। আমাদের গোটা পরিবার আওয়ামীলীগের সমর্থক। আমাদের পরিবারে ৪জন বীরমুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। আমার ছেলে তানজিব এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ সকল অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করতো। এটাই তার জীবনের জন্য কাল হলো। তার বিরুদ্ধে এলাকার ২টি মারামারির মামলা ছাড়া অন্য কোন মামলা ছিল না।
গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে তানজীবসহ ৬ বন্ধু রাজনৈতিক আলাপের জন্য পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্যের অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় শহরের চাঁদাখার বাঁশ তলা থেকে পুলিশ পরিচয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, নিহত তানজীবের পায়ের রগ কাটা ছিল এবং শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ ছিল। তারা তানজীব নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত তানজীবেরে ভাগ্নে ইয়াসির আরাফাত।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত তানজীবের ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান কোলে নিয়ে স্ত্রী মেঘনা খাতুন, মা মলিনা খাতুন ও বাবা বাবু সেখসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোর রাতে সদর উপজেলার শিবরামপুর বেড়িবাঁধ বটতলা এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে যুবক তানজিব শেখ নিহত হয়।
সে শহরের রামচন্দ্রপুর মহল্লার বাবু শেখের ছেলে। পুলিশের দাবী নিহত তানজিবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ ৫ টি মামলা রয়েছে, সে শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল।