পাবনায় বিজয় দিবস ও নবান্নের পিঠা উৎসবের আয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : পাবনায় ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের অয়োজনে ৪৮তম মহান বিজয় দিবস ও তৃতীয় বারেরমত নবান্নের পিঠা উৎবের আয়োজন করে। দুইদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠাানের উদ্বোধন করেন পাবনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মোখলেসুর রহমান।
ভাড়ালা উইনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুসাইদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনার অতিরিক্তি জেলা মেজিষ্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন, ভাড়ালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন প্রমুখ।
মহান বিজয় দিবসের বিজয় আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া ও নতুন প্রজন্মের মাঝে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ ও পরিচয় ঘটিয়ে দেয়ার জন্য এই আয়োজন করে ভাড়ালা উইনিয়র পরিষদ। তৃতীয় বারেরমত এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে তারা। আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জানুয়ারী থেকে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই উৎসবের আয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্ঠ আয়োজকরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দারিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করেন সকলে।
পাবনা সদর উপজেলার সবচাইতে কাছের ইউনিয়ন ভাড়ালা ইউনিয়ন পরিষদ। দুইদিনব্যাপী মহান বিজয় দিবস ও নবান্নের পিঠা উৎসবে প্রায় ৪০ প্রকারের পিঠার পর্ষদ সাজিয়ে বসেছে স্থানীয় গৃহিনিরা। ভাপা, পাকাল. পুলি, পাটিসাপটা, চিতই, দুধপিঠা, নারকলেপুলি, তেলভাজা, রসফুল, কলাপিঠা, নকসি পিঠা, ক্ষীরকুলি, সন্দেশ পিঠা, হারি পিঠা, মালাই পিঠা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
স্থানিয়ো বিভিন্ন গ্রামের গৃববধু ও তরুণীরা এই পিঠা তৈরি করে মেলা প্রাঙ্গণের নিয়ে আসে। এই পিঠার স্বাদ ও তৈরির গুনাগুণ দেখে তিনজনকে বিজয়ী করে বিচারক মন্ডলী। পিঠা উৎবের মেলা প্রাঙ্গণে প্রায় ২০টি স্টল তাদের পিঠা ও বিভিন্ন সাজসজ্জার জিনিস নিয়ে মেলায় অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানের অতিথিরা পিঠা তৈরিতে গুনাগুণ ও সবচাইতে বেশি পিঠা তৈরির জন্য তিনজন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার তুলেদেন।
একদিকে চলে পিঠার আয়োজন অপরদিকে বিজয়ের আনন্দে বিজয় মঞ্চে চলে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে সংগীত পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতনাম বাউল শিল্পি বাউল কন্যা নামে পরিচিত ক্লোজাপ তারোকা সালমা।
অনুষ্ঠানে কুষ্ঠিয়া থেকে আসা লালন একাডেমীর লালল শিল্পি ও স্থানীয় শিল্পিরাও সংগীত পরিবেশন করেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান শুরু হয়ে শেষ হয় রাত দশটার দিকে। খতিব আব্দুল জাহিদ স্কুল ও কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ১৭ ডিসেম্বর সমাপ্ত হবে।