পাবনায় মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদী

মিজান তানজিল, পাবনা : চলিত মৌসুমে পাবনা জেলার ৯টি উপজেলায় মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয় ৫৮ টন ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫১ টন মধু উৎপাদন করা হয়েছে। সে হিসেবে মৌসুমে শেষ হওয়ায় আগেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্ধারিত মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশাবাদি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এ জেলায় মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হয় ৬৫ টন। যদিও ওই বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৭২ টন। তবে ওই মৌসুমে সরকারি হিসাবের বাইরে অন্তত ২০০ টন মধু উৎপাদন করা হয়েছিল বলে দাবি ভ্রাম্যমান মৌয়ালদের।
এদিকে মধুর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলার চাটমোহর,ভাঙ্গুরা ও ফরিদপুর উপজেলায় একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ।ওই প্রকল্পের আওতায় মৌচাষীদের বিনা মূল্যে বাক্স প্রদান করা হয়েছে।
পাবনা কৃষি অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খোন্দকার মোতালেব হোসেন বলেন,সরিষার ক্ষেতে মৌবাক্স স্থাপন করে দ্বিমুখী উপকার পাওয়া যায়। একদিকে মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করবে। এতে সরিষার পরাগায়ন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ফলন বেশি হবে। অন্যদিকে মধু বিক্রি করে লাভবান হবেন চাষী।
সাথিয়া উপজেলার আত্রাইশুকা গ্রামের ভ্রাম্যমাণ মৌয়াল মাজেদ আলী বলেন, জোলাজুড়ে শাতাধিক ভ্রাম্যমাণ মৌয়াল রয়েছেন । প্রতিদিন একজন মৌয়াল ১০ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত মধু আহরণ করতে পারেন । সে হিসেবে চলতি মৌসুমেও ২০০ টন মধু সংগ্রহের করা যাবে।
মৌচাষী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন , চলতি মৌসুমে শুধু মৌচাষীদের মাধ্যে ৮০টন মধু সংগ্রহের সম্বাবনা রয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভ্রাম্যমান মৌয়ালরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি ঝেপ-জঙ্গলও গাছের নির্মাণকৃত মৌচাক থেকে প্রচুর পরিমাণ মধু সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন , উৎপাদিত মধু ভারতের ডাবর বাংলাদেশের প্রাণ ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয় । তবে সরিষা থেকে উৎপাদিত মধুর দাম কম পাওয়া যায়। বাজারে কালিজিরা ফুলের মধুর চাহিদা ও দাম বেশি ।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী বলেন, পাবনায় সরিষার আবাদ বেশি হওয়ার কারনের , দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মৌয়ালরা এসে মধু সংগ্রহ করেন।  চলতি মৌসুমে জেলার নয় উপজেলার ৪০ জন কামরি মধু উৎপাদন বাড়াতে একটি প্রকল্পও নেয়া হয়েছে । ওই প্রকল্পের আওতায় মৌচাষীদের বিনা মূল্যে মৌবাক্স প্রদান করা হয় । চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ২০০ টি বাক্স বিতারণ করা হয়েছে । এছাড়া মৌচাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ।্ তিনি বলেন চলতি মৌসুমে পাবনা জেলার মুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৮ টন । যদিও গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫১ টন মধূ উৎপাদন করা হয়েছে । সে হিসাবে চলতি মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশাবাদী আমরা ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!