পাবনায় যুবলীগকর্মী অরিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদ, পাবনা : পাবনা শহরের পৈলানপুর এলাকায় আধিপত্যের বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনায় অরিন প্রামানিক নামে যুবলীগ কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষো সন্ত্রাসীরা। অরিন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করে এলাকাবাসী। আজ বেলা ১২ টারদকে এলাকার কয়েকহার নারী পুরুষ রাস্তাায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
মানববন্ধ কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য দেন নিহত অরিনের চাচা আব্দুল মান্নান, বড়ভাই শামীম হোসেন সোনা, অরিনের চাচা পাবনা চেম্বারের পরিচালক মিন্টু হোসেন ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক হাজী শরিফ প্রমুখ।
বক্তরা অবিলম্বে অরিন হত্যার সাথে জড়ি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান। বক্তারা বলেন অরিন হত্যার সাথে কারা জড়ি রয়েছে প্রশাসন সেটি খুব ভালো ভাবে জানেন। ঘটনা তিনদিন অতিবাহি হওয়ার পরেও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অরনি হত্যা কারীরা আওয়ামীরীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। আমরা যারা আওয়অমীলীগের রাজনীতের সাথে জড়িত তারা এখন কোন ঠাসা হয়ে পরছি। এই সন্ত্রাসীদের নামে পূর্বেও একাধীক হত্যা মামলা রয়েছে। অরিন হত্যা কারীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার না করা হলে আমরা আরো কঠিন কর্মসূচী পালন করবো। মানববন্ধ শেষে এলাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কাছে লিখিত স্মারক লিপি প্রদান করেন।
ঘটনার বিষয়ে পাবনা সরদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওব্দাুর হক বলেন, ঘটনার পরে আমা বিষটি তদন্ত করে দেখছি। এখনো থানাতে লিকিত কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইন গত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
উল্লেখ্য, গেল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পৈলানপুর এলাকায় আধিপত্ব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা হাজী শরিফ গ্রুপের সাথে পাশবর্তী অঞ্চলের বিএনপি থেকে আওয়ামীরীগে যোগ দেয়া ঘেটু সুমন ও মামুন গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিলো। এরই জেড় ধরে ঘটনা দিন, দিনের বেলাতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা দলবল ও অস্ত্রসন্ত্র নিয়ে পৈলানপুর মহল্লায় আওয়ামীলীগ নেতা হাজী শরিফের অফিস, স্থানিয়ো বেশ কিছু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও সিএনজি স্টেন্ডে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এরি এক সময় সিএনজি ষ্টেন্ডে কাউন্টার মাষ্টার অরিনকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে চলে যায় প্রতিপক্ষো সন্ত্রাসীরা। গুরুত্বর আহত অরিনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতী দেখে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থান্তর করেন। রাজশানীতে নেয়ার পথে অরিনের মৃত্যু হয়।