পাবনায় রোপা আমন ধান আবাদ নিয়ে বিপাকে কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবনার আটঘরিয়ার উপজেলার কন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক নাজমুল হোসেন। তার ১৫ বিধা জমি রয়েছে। কিন্তু সেচ দিয়ে তিনি এই মৌসুমে ২ বিঘা জমি রোপা আমন চাষ করেছেন। বাঁকী জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে। শুধু নাজমুলই নয় তার মত উপজেলার অধিকাংশ কৃষক পানির অভাবে রোপা আমন ধান আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
কৃষরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। প্রখর রোদে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে চাষাবাদের ভরা মৌসুমেও কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না।
তারা বলছেন, সেচ দিয়ে চাষাবাদ শুরু করলেও ডিজেল ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়েছেন তারা। তাই অধিকাংশ জমিই অনাবাদী হয়ে পড়ে আছে।
কৃষকেরা বলছেন, জেলায় সাধারণত মধ্য আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আমন ধানের চারা জমিতে রোপণ করা হয়। কিন্তু এবার তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় তাঁরা আমন চাষাবাদ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। মূলত বর্ষাকালে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে কৃষকেরা রোপা আমন চাষ করে থাকেন। তারা বলছেন, সাধারণত বীজতলায় তৈরি হওয়া চারা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে রোপন করা হয়। কিন্তু অনেক কৃষকের বীজতলার বয়স দেড় মাস পেরিয়ে গেছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের জুলাই মাসে গড় বৃষ্টিপাত ছিলো ৬৭ মিলিমিটার। এবার একই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৬১ মিলিমিটার। চলতি মৌসুমে পাবনা জেলায় ৫৫ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে মাত্র ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালনক মো: রোকনুজ্জামান বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনই মূল কারণ বলে মনে করেন তিনি। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমন চাষ কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে না বলে আশা করছেন তাঁরা।
এ সংকট নিরশনে স্বল্পমূল্যে ডিজেল ও সার সরবরাহের পাশাপাশি আর্থিক প্রনোদনার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।