পাবনায় শিশু নির্যাতন : সুষ্ট বিচারের দাবি পরিবারের
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার বেড়ায় চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে ব্যাপক নির্যাতন করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। পৌরসভা ভোটে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন শিশু শিক্ষার্থীও পরিবার। এ ব্যাপারে থানায় মামলা না নেয়ায় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন কোর্ট বন্ধ থাকায় বিচার না পেয়ে মানসিক ভাবে দুশ্চিতায় ও আশংকায় রয়েছে শিশুর মা স্কুল শিক্ষিকা মোখলেসা শারমিন্দ দিবা।
গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২ টার দিকে পাবনার বেড়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়দহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের স্বীকার বেড়া পৌরসভার জোড়াদহ এলাকার মোখলেসা শারমিন্দ দিবার ছেলে শিশু মোস্তফা তাহমিদ(১০)। শিশু তাহমিদ দারুল আরকাম মাদ্রাসার ছাত্র।
ঘটনা সুত্রে জানাযায়, শিশু তাহমিদের মা মোখলেসা শারমিন্দ দিবা এবার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে মহিলা কাউন্সিরর প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে। অপর দিকে নির্যাতন কারী আলামিন কবির জয় ও সুস্মিতা কবির ঐশির মা আইরিন পারভীন মুন্নী একই পদে নির্বাচন করে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর শিশু তাহমিদকে রাস্তা থেকে তুলে তাদের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। শিশু তাহমিদের চিৎকারে এলাকার লোকজন জানতে পেরে উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন শিশু তাহমিদকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আইরিন পারভীন মুন্নী জানান, আমার বাসায় একটা পাগলী থাকে তাকে ডিল মারার কারণে আমার ছেলে জয় তাহমিদকে তাড়া করে। এ সময় সে আহত হয়। পরে বাড়ীতে ধরে এনে সেভলন লাগানোর জন্য কিন্তু সে(শিশু) পালিয়ে যায়। শিশুর পরিবার আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তা মিথ্যা।
এ ব্যাপারে শিশুর মা মোখলেসা শারমিন্দ দিবা বলেন, আমার বাচ্চা হেফজ খানায় লেখাপড়া করে। আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছিল। ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে শরীরের অনেক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। আমার বাচ্চা বর্তমানে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আমি এর দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ বলেছেন, ঘটনার বিষয়টি জানি আমার সার্কেল স্যার ও বিষয়টি জানেন। আমরা বসে এর একটা সমাধানের কথা বলেছিলা সেটা হয়নি। এজাহারে ক্রুটি থাকায় গ্রহন করা হয় নাই।