পাবনায় শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পৌরসভা নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : শেষ মুহুর্তে প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে তৃতীয় ধাপে পাবনা পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর সাথে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা। তবে ভোটাররা চান শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দেয়ার নিশ্চয়তা। আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলছেন নির্বাচন কমিশন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম পাবনার পৌর এলাকা। শহরের অলি-গলিতে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। আলোচনার কেন্দ্রবৃন্দতে পরিনত হয়েছে কে হচ্ছেন পৌর পিতা। তবে এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও।
আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মুর্তুজা বিশ^াস সনি বলেন, কিছু কিছু নেতাকর্মী ভুল পথে থাকে পাবনা আপামর জনসাধারণ এবং যারা দলীয় নেতাকমর্রিা আছে তারা সবাই ঐক্যবন্ধ। তার ৩০ তারিখে ভুল করবে না। সাধার ভোটাররা ৩০ তারিখে নিবিগ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে আপনাদের ভোট দেবেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নাগরিক মঞ্চ মনোনীত নারিকেল প্রতিকের প্রার্থী শরীফ উদ্দিন প্রধান বলেন, নারিকেল গাছ মার্কা প্রতিকের প্রচারনার উপর ব্যাঘাত সৃষ্ঠি করে। তাদের কাছে যে লিফলেট ছিলো তা জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। এক পর্যায়ে লাঠি সোটা নিয়ে তাদের উপর ধাওয়াও করে। পাবনায় দলমত নির্বিশেষে নাগরিক মঞ্চ সমর্থিত কমিটি আমাকে প্রাথর্ িঘোষনা করেছেন। সুষ্ট নির্বাচন হলে আমি শতভাগ আশাবাদী আমি নির্বাচিত হব।
বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা বলেন, এই সরকারের প্রতি আমাদের বিন্দমাত্র আস্থা নাই। কারণ বিগত দিনে নজির রয়েছে। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে হয়ে গিয়েছে। আমরা যদি সুষ্ট পরিবেশ পাই আমরা আশাবাদ নিশ্চিত আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী মাহবুবুল হক রাজন বলেন, কিছু উৎসৃঙ্খল যুবকের কারণে হটকারী অনেক সিদ্ধান্ত হয়। পাবনার মানুষ এখনো শান্তির পক্ষে। তারা চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হলে তারা ভোট কেন্দ্রে প্রতিক দেখে ভোট দেবে।
আর ভোটাররা বলছেন, অবাধ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে তারা যেন ভোট দিতে পারেন এই দাবী তাদের।
১১ নং ওয়ার্ডের ভোটার আসাদ্দুজ্জামান বলেন, ভাটকেন্দ্র শান্তিপূর্ণ থাকুক। আমার ভোট আমি দিতে পারি। কেন্দ্রগুলো নিরাপদ থাকা দরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেনো অনেক বেশী ব্যবস্থা নেয়। তিনি বলেন, আমরা চাই এমন একাট ব্যক্তি যে পাবনা পৌরসভার উন্নয়ন করবে তাকে আমরা ভোট ভোট দেব।
এদিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিছু ছোটখাটো ঘটনায় কথা স্বীকার করে পাবনার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহনে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করছেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে সুষ্ঠ সুন্দর আইনুনগরভাবে করার জন্য প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। ছোট খাটো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পাবনা পৌরসভায় মোট ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ২৪৪জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৫৪ হাজার ২০৪ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছে ৫৮ হাজার ৪০ জন। এখানে মেয়র পদে ৫জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭৪ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৭জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৯টি। মোট ভোট কক্ষ রয়েছে ৩৪৬টি।