পাবনায় সংঘষে দুই জন নিহতের ঘটনায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের দ্বন্দের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী। এতে ভাড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকায় শতশত নারী ও পুরুষ এই বিক্ষোভ কর্মসুচিতে অংশ নেয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে নিহতদেও ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যার সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত লস্কর খানের পুত্র সুলতান খান বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে আবু সাইদ খানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দীতা করায় আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিল সে। এরই জেরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সোমবার আবু সাইদ খান সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি আবু সাইদ খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
নিহতর স্বজনরা আগামী তিনদিনের মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে পাবনা শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে পাবনা অচল করে দেওয়ারও অল্টিমেটাম দেন।
উল্লেখ, চর থেকে বালু তোলা নিয়ে ভাড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ এবং জাসদ থেকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া সুলতান আহমেদের বিরোধ চলছে।
এর জেরে সন্ধ্যায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এতে গুরুত্বর আহত ৬ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর আব্দুল মালেক ও লস্কর আলী নামের দুই জন মারা যান।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।