পাবনায় সকালে সংবাদ সন্মেলন বিকেলে মিলন নদীতে লাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : নিখোঁজের ৫ দিন পর না পেয়ে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন করার পর নদীতে মিলেছে আব্দুল খালেক খাঁন (৪৬) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে পাবনার আটঘরিয়ার উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের চৌকিবাড়ি ইছামতি নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত খালেক সদর উপজেলার বরামপুর হাজিরহাট এলাকার শামসুদ্দিন খাঁর ছেলে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিক জানান, আটঘরিয়া উপজেলার চৌকিবাড়িগ্রামের ইছামতি নদীতে এলাকাবাসী একটি মৃতদেহ পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে নিহতের ভাই খলিলুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন যে, কে বা কারা তাকে হত্যার পর নদীতে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে পাবনায় নিখোঁজ ছোট ভাইয়ের সন্ধানে পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলোনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। পাবনা সদর থানার বলরামপুর হাজিরহাট এলাকার শামসুদ্দিন খাঁনের মেঝ ছেলে কৃষক মোঃ খালেক খাঁন (৪৮) ৫ দিন যাবত নিখোঁজ ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন কুয়েত প্রবাসী থাকলেও সম্প্রতি দেশে এসে কৃষি কাজ করছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, গত ১৭ জুলাই বিকেলে নিখোঁজ খালেকের সাবেক স্ত্রী উম্মে কুলসুম বীনার মোবাইল ফোন পেয়ে খালেক বাড়ি থেকে বেড় হন। এ সময় তিনি বর্তমান স্ত্রীকে বলে যান সাবেক স্ত্রীর কাছে থাকা তার ছোট সন্তানকে আনতে যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ ৫দিন অতিবাহিত হলেও খালেক আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।
পরিবারের অভিযোগ নিখোঁজ খালেকের বড় বউ তালাকপ্রাপ্ত উম্মে কুলসুম বীনা ও তার বর্তমান স্বামী মোঃ শাহিদুল ইসলাম আসিফ পরিকল্পিত ভাবে খালেককে ডেকে নিয়ে হত্যা।
খালেক নিখোঁজের বিষয়ে ১৮ জুলাই পাবনা সদর থানায় জিডি করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন তাদের তেমন কোন সহযোগিতা করেন নাই বলেও তারা অভিযোগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ নিখোঁজ খালেককে উদ্ধারের জন্য তৎপর রয়েছে।